• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইমো প্রতারণা-মুদি দোকানি বিকাশ কর্তা, গ্রেপ্তার ৩


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৮, ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম
ইমো প্রতারণা-মুদি দোকানি বিকাশ কর্তা, গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা: প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাটরের লালপুর এবং রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকা থেকে শনিবার (২৭ মে) তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন অভিনব সব উপায়ে  প্রতারণা করে আসছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফজলে রাব্বি (২০), মো. রাজন আলী(২২), রন্জু আহম্মেদ(২২)।

রোববার (২৮ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। 

প্রতারণার বিষয়ে ওসি জানান, চক্রের সদস্যরা সাহায্যের নামে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিতো। চক্রের সদস্য রাজন আলী এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ইমো রাজন নামে। তিনি অভিনব উপায়ে ইমোর মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি বিভিন্ন নামে ইমোতে অনেকগুলো গ্রুপ খুলেন। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্যই এসব গ্রুপ খুলেন তিনি। এই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর তাকে টার্গেট করা হয়। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে তার ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠানো হয়। এত বিপুল পরিমাণ ম্যাসেজ আসার এক পর্যায়ে ওই নম্বর হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। এই সুযোগে রাজন ওই ব্যক্তির সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢুকার একসেস চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও একসেস পায়। ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে 'আমি বিপদে পরেছি, টাকা পাঠান' 'মা অসুস্থ, টাকা পাঠান' জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।

প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য রন্জু আহম্মেদ পেশায় দোকানদার। কিন্তু তিনি করেন বিকাশ প্রতারণা!  দোকানে বসেই বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। 

এছাড়া একজনের নামে সিম অন্যের কাছে বিক্রি করেন ফজলে রাব্বি। সাধারণত সড়কের পাশে যারা সিম বিক্রি করেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি।  সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪/৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে।

সোনালীনিউজ/এলআই/আইএ

Wordbridge School
Link copied!