• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

রোজায় স্বস্তি বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দামে


নিজস্ব প্রতিবেদক:  মার্চ ৭, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
রোজায় স্বস্তি বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দামে

ঢাকা: দেশে কোন পণ্যের দাম একবার বাড়লে কমার জো থাকে না। তবে এবারের রমজানে তার উল্টো চিত্র। সপ্তাহের ব্যবধানে নিম্নমুখী বেশিরভাগ পণ্যের দাম। পবিত্র রমজান শুরুর দুদিন আগে, গত শুক্রবার বাজারে বেড়েছিল বেশ কিছু পণ্যের দাম। এক সপ্তাহ বাদে এখন সেসব পণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে।

মোটাদাগে বলা যায়, এবার রোজায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল শুরু থেকেই। সব মিলিয়ে বাজারে তেমন বড় কোনো অসংগতি নেই।

শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, লেবু-শসা বা বেগুনের মতো বাড়তি চাহিদার পণ্যগুলোর দামও কমছে। আগে বেগুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সবজির বাজার আছে আগের মতোই। করল্লা আর ঢেঁঢ়স ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দর কমেছে। প্রতি কেজি করল্লা ৬০-৮০ এবং ঢেঁঢ়স ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজি কেনা যাবে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।

যেখানে বড় সংকট ছিল সয়বিন তেলের। অর্থাৎ রোজার শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল তাও এখন কমেছে। সব দোকানে খোলা সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কোথাও কোথাও বোতলজাত তেলের সরবরাহে এখনো কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে।

এক বিক্রেতা বলেন, খোলা সয়াবিন আছে। বোতলজাত তেলও এখন দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। তবে চাহিদার তুলনায় কম। আগে যে তেল পাওয়াই যাচ্ছিল না, এখন তেমন আর নেই।

এদিকে ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে, স্বস্তি খাদ্যেও ভারত-পাকিস্তান থেকে এলো ৩৭ হাজার টন চাল এছাড়া গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকায়। যেখানে গত বছর এসময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পণ্যের দামে স্বস্তির কথা বলছেন অনেক ক্রেতা। রমজান হিসাবে বাজারে আগে যে হুলুস্থুল পরিস্থিতি থাকতো সেটা এবার নেই। বেশিরভাগ পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে।

রোজা শুরুর কারণে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ২২০ টাকায় উঠেছিল। এখন আবার কমে ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। পাশাপাশি ডিমের বাজারও নিম্নমুখী। প্রথম রোজায় ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা দরে। তবে মহল্লার দোকানে কেউ কেউ ডজনে ৫ টাকা বেশি রাখছেন।

মোটাদাগে বলতে গেলে এ বছর পবিত্র রমজানে পণ্যের দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে মুদি পণ্যের দাম। রোজা শুরুর আগেই বাজারে অরাজকতা এবার দেখা যায়নি। তবে চালের দাম বাড়তি রয়ে গেছে, সেটা অবশ্য কমেনি। এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর, ডালের দাম কম রয়েছে।

এএইচ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!