• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

প্রশ্ন প্রযোজকের

ওই দিন জায়েদ-সায়ন্তিকা হোটেলে কী করছিলেন


বিনোদন ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
ওই দিন জায়েদ-সায়ন্তিকা হোটেলে কী করছিলেন

ঢাকা : পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং শেষ না করে মাঝপথে কলকাতায় ফিরে গেছেন। ফলে শুটিং বন্ধ রয়েছে তাজু কামরুল পরিচালিত সিনেমাটি। এ নিয়ে অভিযোগ পালটা অভিযোগ উঠে আসছে।

সায়ন্তিকার অভিযোগ প্রযোজক পেশাদার আচরণ করেননি। আর প্রযোজক মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, সায়ন্তিকা ৫০ হাজার রুপি ও শুটিংয়ের পোশাক ফেরত দিয়ে যাননি। সেই সঙ্গে শুটিং শেষ করার পরও নায়ক-নায়িকার হোটেলকক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

জানা যায়, গত ৩০ আগস্ট কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শুরু করেন তিনি।

কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার; কিন্তু তিনি সেটি না করে ৭ সেপ্টেম্বর চলে যান। শোনা যায় সায়ন্তিকা শুটিং শেষ না করেই কলকাতায় চলে গেছেন।

প্রযোজক মনিরুল ইসলামের দাবি, নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর সঙ্গে কাজ করবেন না বলেই ঢাকা ছেড়েছেন সায়ন্তিকা। মাইকেলের বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা হাত ধরার যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয় বলে দাবি মনিরুলের।

সায়ন্তিকা দাবি করেন, নৃত্য পরিচালক নয় বরং মূল সমস্যার নেপথ্যে সিনেমার প্রযোজক। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছে ছায়াবাজের শুটিং। বারবার চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান পাননি তিনি।

সায়ন্তিকার এমন অভিযোগে রোববার প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে আর কী বলার আছে।’

শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে মনিরুল বলেন, ‘কিভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকাই করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’

মনিরুল আরও বলেন, ‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য দুপুর ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!