• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দি মা-মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে হামাস


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ২১, ২০২৩, ১০:০৮ এএম
বন্দি মা-মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

ঢাকা : দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামলার সময় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া লোকজনের মধ্যে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী ও তার মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করে আসা সংগঠন হামাস।

বন্দিমুক্তি নিয়ে আলোচনায় যুক্ত এবং কূটনৈতিক সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জুডিথ তাই রানান এবং তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে নাতালি রানানকে প্রথমে রেডক্রসের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে নেওয়া হয় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হেফাজতে এরপর ইসরায়েলে থাকা স্বজনদের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

হামাসের হাতে বন্দি হওয়ার সময় দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ নাহাল ওজ এলাকায় স্বজনদের সঙ্গে ছিলেন শিকাগোর বাসিন্দা এই মা-মেয়ে।

৫৯ বছর বয়সী জুডিথের শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় ‘মানবিক দিক বিবেচনায়’ তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস এবং বন্দিমুক্তির আলোচনায় থাকা পক্ষগুলো।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ২০০ জনকে ধরে নিয়ে যায় হামাস সদস্যরা। এরপর থেকেই বন্দি মুক্তির বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতায় হামাসের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো দুইজনকে মুক্তি দেওয়া হল।
বন্দি মা-মেয়েকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

দুই বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পর হামাস নেতা আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেন, “কাতারের প্রচেষ্টায় আল কাসেম ব্রিগেড আমেরিকার দুই নাগরিককে (মা ও মেয়ে) মানবিক দিক বিবেচনায় মুক্তি দিয়েছে। আর এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হলো, বাইডেন এবং তার ফ্যাসিস্ট প্রশাসন আমেরিকার নাগরিক ও বিশ্বের কাছে যে দাবি তুলে আসছে, তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।”

এদিকে দুই বন্দির মুক্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন। রানানদের মুক্তিতে সহায়তা করায় কাতার এবং ইসরায়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ এ এক বার্তায় বাইডেন বলেছেন, তিনি মুক্তি পাওয়া দুই নারীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।

বার্তার সঙ্গে তিনি মুক্তি পাওয়া দুই নারীর একটি ছবিও পোস্ট করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় তাদের ওই ছবি তোলা হয়।

নিজেদের নাগরিকসহ সব বন্দির মুক্তির বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতায় কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। এই দুই দেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ফ্রান্স এবং পতুর্গালের নাগরিকও বন্দি রয়েছে হামাসের হাতে।

অন্যদিকে হামাস দাবি করেছে, ফিলিস্তিন উপকূলের বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোয় আরো কয়েকটি সশস্ত্র গ্রুপে হাতে ৫০ জনের বেশি আটক আছে। এছাড়া ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ২০ জনের মতো বন্দি মারা গেছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!