• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
ইসরায়েলে দুই শতাধিক ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান

ঢাকা : শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ওই হামলা চালানো হয়। এই প্রথম তেহরান সরাসরি ইরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালালো।

এ হামলার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার যে শঙ্কা এতদিন করা হচ্ছিল তা হয়তো বাস্তব রূপ নেবে। যুক্তরাষ্ট্র ‘দৃঢ়ভাবে’ ইসরায়েলকে সমর্থন করার প্রতিজ্ঞা করেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

ইরান এ অভিযানের নাম দিয়ে ‘ট্রু প্রমিজ’। ইরানের এ হামলার পর লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। আর ইরান ও ইসরায়েল সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইসরায়েল থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন সাংবাদিক জানান, চারিদিকে সাইরেন বাজছে। তারা আকাশে ভারি বিস্ফোরণের জোরাল শব্দ শুনতে পাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে যেগুলোকে আকাশসুরক্ষা ব্যবস্থায় হামলাকারী ড্রোন ধ্বংস করার শব্দ বলা হচ্ছে। হামলায় সাত বছরের একটি ছোট্ট মেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে।

ইরানের হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রেয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, ইরান ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ যোগ্য কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েল সীমান্তের বাইরেই ধ্বংস করা হয়েছে। ইরান ১০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে।

তিনি বলেন, “ইরান একসঙ্গে দুই শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যেগুলোর বেশিরভাগকে আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। হামলায় ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

প্রাথমিকভাবে সতর্ক সংকেত বেজে উঠলেও পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এখনই নাগরিকদের শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে না।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল ইরান।

ইসরায়েল ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও তারাই এর পেছনে ছিল বলে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

ইরানের সমর্থনপুষ্ট ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। এর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিভিন্ন ছায়া গোষ্ঠীর অনেকগুলোই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে।

গাজা যুদ্ধ ওই অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মধ্যেই ইরানি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

যার জেরে ইসরায়েলে যেকোনো সময় বড় ধরণের হামলা চালাতে পারে ইরান, এমন গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরে বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে শুক্রবারও সতর্কতা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানকে ইসরায়েলে হামলা ‘না করতে’ বলেছিলেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!