ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাজেট ঘিরে চাপের মুখে পদত্যাগের মাত্র চার দিন পরই আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ফিরলেন সেবাস্তিয়ান লেকর্নু। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তাকে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়ে পুনরায় নিয়োগ দেন।
প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
হঠাৎ পদত্যাগ, হঠাৎ প্রত্যাবর্তন
মাত্র ২৬ দিন দায়িত্ব পালনের পর গত সোমবার হঠাৎ করেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন লেকর্নু। যদিও তিনি সরাসরি কোনো কারণ জানাননি, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, আসন্ন বাজেট পাসসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক চাপ এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাব তাকে এই সিদ্ধান্তে যেতে বাধ্য করেছিল।
কিন্তু বাজেট উপস্থাপনের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। এক বিবৃতিতে জানানো হয়, লেকর্নু এখন থেকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নতুন সরকার গঠন করবেন।
বাজেটই বড় চ্যালেঞ্জ
এক্স (সাবেক টুইটার)–এ দেওয়া পোস্টে সেবাস্তিয়ান লেকর্নু বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য হবে ২০২৬ সালের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য বাজেট উপস্থাপন এবং সরকারি অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।
নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আগামী সোমবারের মধ্যেই ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। বর্তমান রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এক বছরে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী
সেবাস্তিয়ান লেকর্নু হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর দ্বিতীয় মেয়াদে পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের জুলাই থেকে ফ্রান্সে রাজনীতি চরম অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে।
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে আস্থা ভোটে হেরে যায় ফ্রাঁসোয়া বাইরুর নেতৃত্বাধীন সরকার। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন ম্যাক্রোঁ। কিন্তু দলীয় সমর্থনের ঘাটতি ও সংসদে কার্যকর নিয়ন্ত্রণের অভাব তার কাজকে জটিল করে তোলে।
ফ্রান্সে বাজেট প্রণয়ন ও সরকারের ভবিষ্যৎ গঠন এখন অনেকটাই নির্ভর করছে সেবাস্তিয়ান লেকর্নুর দক্ষতা ও রাজনৈতিক কৌশলের ওপর। তার প্রত্যাবর্তন স্বল্পমেয়াদি সমাধান হলেও এটি এক ধরনের 'রাজনৈতিক জুয়া', যার পরিণতি নির্ধারণ করবে আগামী কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
এম







































