জুলাই শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। ফাইল ছবি
ঢাকা: সম্প্রতি বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। গুঞ্জন উঠেছে, তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে ঢাকা-১৮ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনাও চলছে।
জামায়াত, এনসিপি এমনকি আওয়ামী লীগের কিছু কর্মীও লিখছেন-‘ভাইয়ের লাশ বিক্রি করে এমপি হতে যাচ্ছেন স্নিগ্ধ।’ তাদের এই মন্তব্য ঘিরে ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনেকে। প্রশ্ন উঠছে-ভাইয়ের ত্যাগকে কি এমনভাবে অবমূল্যায়ন করা যায়?
অনেকেই মনে করছেন, আবু সাঈদ-মুগ্ধদের মতো তরুণদের আত্মদান না হলে আজ দেশে নির্বাচনের আলোচনাই উঠত না। তাদের আত্মত্যাগেই স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে, নির্বাচনের প্রক্রিয়া আবার শুরু হয়েছে। এই শহীদ পরিবারের একজন সদস্য যদি রাজনীতিতে অংশ নেন, তবে সেটি অস্বাভাবিক নয়। বরং যে পরিবারের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আজ সবাই রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে, সেই পরিবারের সদস্য রাজনীতিতে এলে এত সমালোচনার কারণ কী-এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
জামায়াত-শিবিরের অনলাইন কর্মীদের মধ্যে একধরনের প্রবণতা স্পষ্ট-যে তাদের দলে যায়, সে ভালো; অন্য দলে গেলেই খারাপ। স্নিগ্ধ যদি জামায়াতে যোগ দিতেন, তাহলে তাঁকে বলা হতো শহীদ পরিবার, ত্যাগী, আন্দোলনের সৈনিক। কিন্তু বিএনপিতে যেতেই তাঁকে বলা হচ্ছে ‘লাশ বিক্রেতা’, ‘চাঁদাবাজ’, ‘টাকা আত্মসাৎকারী’। অথচ কয়েক দিন আগেও এই একই মানুষজন তাঁকে নিয়ে প্রশংসা করেছেন, ছবি শেয়ার করেছেন, বলেছেন ‘জুলাই চেতনার উত্তরাধিকার’।
অনেকে বলছেন, যেসব পরিবারের সদস্যরা জীবন দিয়ে এই পরিবর্তনের পথ তৈরি করেছেন, তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত সব রাজনৈতিক দলে। তাহলেই তাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছাবে ক্ষমতার কেন্দ্রে, সংসদে। তবেই নিশ্চিত হবে বিচার ও সংস্কারের পথ।
জুলাই চেতনা কোনো একক দলের সম্পত্তি নয়। এটি এ দেশের প্রতিটি স্বৈরাচারবিরোধী শক্তির, প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের। সে হোক আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি বা অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দল। জুলাই চেতনা হিন্দু, মুসলিম, হুজুর কিংবা নাস্তিক-সবাইয়ের মিলিত লড়াইয়ের প্রতীক।
এসএইচ







































