• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

প্রতি টিকায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২, ২০২১, ০১:২৭ পিএম
প্রতি টিকায় ৭৭ টাকা মুনাফা করেছে বেক্সিমকো ফার্মা

ফাইল ফটো

ঢাকা: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মার পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে । এতে দেখা যায় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা।

রোববার (২ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। 

জানা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর তথা ২০২০ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি সরকারকে ৫০ লাখ করোনার টিকা সরবরাহ করে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। সব খরচ বাদ দেওয়ার পর এ মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। তাতে প্রতি টিকায় মুনাফার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭৬ টাকা ৭৪ পয়সা বা প্রায় ৭৭ টাকা।

কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন,‘সরকারকে আমরা ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করেছি ঠিকই; কিন্তু উল্লেখিত সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) ৫০ লাখ টিকার মুনাফা হিসাবে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ২০ লাখ টিকা এপ্রিলে সরবরাহ করা হয়েছে। সেই আয় এই প্রান্তিকের হিসাবে যুক্ত হয়নি।’

এদিকে করোনার টিকার আয়ের পাশাপাশি বেক্সিমকোর চলমান ওষুধের ব্যবসার আয়ও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ওষুধ রপ্তানি করে প্রাপ্ত নগদ সহায়তার পরিমাণও। 

করোনার টিকা সরবরাহের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি এতো দিন কোনো পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, ভারত থেকে টিকা এনে বেক্সিমকো কত মুনাফা করছে, তার কোনো হিসাবও পাওয়া যায়নি। যদিও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে চুক্তিটি প্রকাশের দাবি করা হয়েছিল।

তাতে কোম্পানিটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস বেড়ে হয়েছে ৩ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছর তথা ২০২০ সালের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ২ পয়সা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা, যার বড় অংশই এসেছে করোনার টিকার বাড়তি আয় থেকে। একই সময়ে কোম্পানিটির ওষুধের ব্যবসা ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি থেকে অর্জিত মুনাফা।

বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় এ টিকা আমদানি করা হচ্ছে।

ভারত থেকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে করোনার টিকা সরবরাহের কোনো তথ্য এতো দিন কোনো পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি। ফলে, টিকা এনে বেক্সিমকো কত মুনাফা করছে, তার কোনো হিসাবও পাওয়া যায়নি। যদিও দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চুক্তিটি প্রকাশের দাবি করে আসছিলো। এমনকি এককভাবে বেক্সিমকোকে টিকা আমদানির সুযোগ দেওয়া নিয়ে দেশে চলছিল নানা সমালোচনা। সম্প্রতি টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ সমালোচনা আরও বেশি শক্ত ভিত পেয়েছে।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আনবে। এ তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ টিকা এনেছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ টিকা বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করেছে। ছয় মাসের মধ্যে তিন কোটি ডোজ টিকা আনার কথা থাকলেও বর্তমানে ভারত থেকে করোনার টিকা আসা বন্ধ রয়েছে।

সোনালীনিউজ/আরএইচ

Wordbridge School
Link copied!