কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি রাস্তায় নেমে মিছিল বা সমাবেশের চেষ্টা করেন, তাহলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ। কেউ যদি এই নির্দেশ অমান্য করে মিছিল-মিটিংয়ের চেষ্টা করে, তবে আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করা হবে। আইন প্রয়োগে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়কে নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী বিদেশে বসে দেশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, যার বিরুদ্ধে শত শত তরুণকে হত্যা ও নিখোঁজ করার অভিযোগ রয়েছে, সেই ব্যক্তি বিদেশে বসে কী নির্দেশ দিচ্ছেন, তা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারিতে আছে। ঢাকার ‘বড় কসাই’ বা ‘বুচার অব বেঙ্গল’ হিসেবে পরিচিত ওই ব্যক্তির কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।
এসময় তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশন টিম ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পর্যালোচনা করছে।
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এখন বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। রায় হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সঙ্গে এ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
শফিকুল আলম আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক আবেদন ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। তার অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ জাতিসংঘের বিভিন্ন রিপোর্টেও উল্লেখ রয়েছে।
এম







































