• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

কবে আসছেন তারেক রহমান, জানা গেল নতুন তথ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
কবে আসছেন তারেক রহমান, জানা গেল নতুন তথ্য

ফাইল ছবি

বেগম খালেদা জিয়া টানা এগারো দিন ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে শুয়ে আছেন। শুভ্র বিছানার পাশে সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ। দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁকে সুস্থ করে তুলতে। আর পুরো দেশ দোয়া-প্রার্থনায় নিস্তব্ধ। গ্রামের মসজিদ থেকে শহরের বহুতল-সবখানে একটাই আকুতির সুর, খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা। মানুষের হৃদয় যেন ভারী হয়ে আছে উদ্বেগে, বাতাসেও যেন চাপা রোনাজারি।

এমন সংকটময় সময়ে তাঁর একমাত্র জীবিত পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে। প্রায় আঠারো বছর ধরে নির্বাসিত জীবন। এই অবস্থায় তিনি দেশে ফিরছেন না-নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। কেউ প্রশ্ন তুলছেন, কেউ আবার নানা ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

কিন্তু সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রশ্নকারীরা এক বিষয় খেয়াল করছেন না-তারেক রহমান লন্ডনে বসেই তাঁর মায়ের চিকিৎসা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিশ্চিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুত্রবধূ চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের সঙ্গে মিলে প্রতি মুহূর্তে তিনি যোগাযোগ রক্ষা করছেন ঢাকার চিকিৎসক দলের সঙ্গে। চীন থেকে দুই দফা বিশেষজ্ঞ দল এসেছে, লন্ডন থেকেও আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সাত দেশের চিকিৎসক একযোগে ভার্চুয়ালি আলোচনা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন-এই সমন্বয়ও করছেন তারেক রহমান।

লন্ডন ক্লিনিককেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনে বেগম জিয়াকে পাঠানোর জন্য। সেখানে তাঁর পূর্ণ মেডিকেল হিস্টোরি রয়েছে। চিকিৎসকেরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জটিল রোগসমূহ সম্পর্কে অবগত। বহুদেশের বিশেষজ্ঞদের একত্র বিশ্লেষণে অগ্রগতি সম্ভব-এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারেক রহমান সেখানে বসেই এই পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করছেন।

ওই পরিস্থিতিতে আবেগের বশে দেশে এসে মা–পুত্রের মিলনে মিডিয়ার আলোড়ন সৃষ্টি করাটা চিকিৎসার কোনো বাস্তব সুবিধা দেবে না-এমন মতও রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দেশে ফিরলে পথঘাট ভরে যাবে মানুষের ভিড়ে। টিভির পর্দা, অনলাইন নিউজ, লাইভ—সবখানে আবেগের ছোঁয়া থাকবে। কিন্তু ওই আবেগ পেরিয়ে চিকিৎসার মূল জায়গাটি আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। প্রয়োজন মায়ের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, উপস্থিত থাকা নয়-এমনটাই বলছেন অনেকেই।

তারেক রহমানও নিজের একটি পোস্টে লিখেছিলেন, তাঁর দেশে আসা একক সিদ্ধান্ত নয়। বিষয়টি স্পর্শকাতর। এটি আবেগের প্রশ্ন নয়, দায়িত্বের জায়গা। মাকে ভালোবাসেন বলেই তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ঠাণ্ডা মাথায়, সমন্বিতভাবে। চিকিৎসক, পরিবার ও দলের সঙ্গে আলাপ করেই তিনি উপযুক্ত সময় বেছে নেবেন।

এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তাঁর দেশে ফেরা নয়-বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। যেদিন চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেবেন, পরিবার সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে-তখনই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। আপাতত তিনি লন্ডন থেকে অটলভাবে মায়ের চিকিৎসার প্রতিটি পদক্ষেপ নজরদারি করছেন।

দেশ জানতে চাইছে-কবে আসছেন তারেক রহমান? নতুন তথ্য অনুযায়ী, তিনি আসবেন তখনই, যখন চিকিৎসা দল, পরিবার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি একসঙ্গে অনুকূল হবে। এখন তাঁর সব মনোযোগ মায়ের জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে।

এসএইচ 

Wordbridge School
Link copied!