• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পেস মেকার বসানোর পরদিন খালেদা জিয়া কেবিনে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৪, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম
পেস মেকার বসানোর পরদিন খালেদা জিয়া কেবিনে

ঢাকা : পেস মেকার বসানোর পরদিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন একথা জানান।

তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা ম্যাডামকে দেখার পর সব কিছু পর্যালোচনা করে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে সিসিইউর সুবিধা সম্বলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখানে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (২৩ জুন) বিকালে বিএনপি নেত্রীর হৃদযন্ত্রে ‘স্থায়ী পেস মেকার’ বসানো হয়। এরপর তাকে সিসিইউতে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। তারা গত ১২ ঘণ্টার রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করেন। এরপর খালেদা জিয়াকে দেখে এসে কেবিনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন।

মেডিকেল বোর্ডের এই বৈঠকে লন্ডন থেকে পুত্রবধূ জোবায়দা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে তিনটি ব্লক থাকায় আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। পরে বিদেশি চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেস মেকার বসানো হয়।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।

২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ১০ বছর ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৭ বছর সাজা পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে বিএনপি নেত্রীর দণ্ড প্রথমে স্থগিত হয় ছয় মাসের জন্য। সাজা স্থগিতের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে প্রতিবারই আবার ছয় মাস করে দণ্ড স্থগিত হয়েছে।

সাময়িক মুক্তির শর্ত হিসেবে দেশের বাইরে যেতে পারছেন না বিএনপি নেত্রী। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আবেদন একাধিকবার ফিরিয়ে দিয়েছে সরকার।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!