ফাইল ছবি
কোয়ালালামপুর, দুবাই, লন্ডন ও নিউইয়র্কসহ বিশ্বের ২১টি প্রবাসী স্টেশনে ২০২৩ সালের মে থেকে প্রবাসীদের ভোটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৯ মাসে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে নির্বাচনী সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছেন ২০ হাজার ৬৭৬ জন। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৭১৩ জনকে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সূত্র জানায়, আবেদন পড়েছে ৬১ হাজার ১১৯টি। দূতাবাসে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৯০ জনের। অনুমোদন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭১১ জন, বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ১৩৬ জনের আবেদন, তদন্ত অপেক্ষমাণ আছে ২৯ হাজার ২৪৭ জনের। ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ৩১টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাপানো হয়েছে এবং ১৫ হাজার ৭১৯টি দূতাবাসের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, চারটি দেশে কার্যক্রম সম্প্রসারণের প্রস্তুতি চলছে। তবে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কতজন অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব, তা নির্ধারণ করা এখনও কঠিন। আগামীতে ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, মালদ্বীপ, জর্ডান, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স ও স্পেনে কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
প্রবাসীরা অনলাইনে ফরম পূরণ করলে এবং বাধ্যতামূলক চারটি তথ্য জমা দিলে নির্বাচন কমিশন তা যাচাই করে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। প্রবাসীরা দেশে না থাকলেও আত্মীয়ের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন বলেছেন, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি সীমিত হলেও তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হবে।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জনশক্তি ব্যুরো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বায়রা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রবাসীদের জন্য কার্যক্রম চালাচ্ছে। সর্বাধিক প্রবাসী রয়েছেন সৌদি আরবে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৮ জন, কম প্রবাসী নিউজিল্যান্ডে দুই হাজার ৫০০ জন।
এসএইচ







































