ফাইল ছবি
ঢাকা: প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে ঈদের দুদিন পরেও কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ খুবই কম। যত মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করছেন।
ঈদের পরে লম্বা ছুটি হওয়ায় গ্রামে ফেরা মানুষের রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এখনো পুরোদমে আসা শুরু হয়নি। তবে গত দুদিনের তুলনায় আজ ঢাকায় ফেরা যাত্রীর কিছুটা বেশি। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের পরে এবার লম্বা ছুটি। খুব জরুরি না হলে লোকজন এখনো সেভাবে ঢাকা ফিরতে শুরু করেননি। মূলত অফিস, কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে। সেই হিসেবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ঢলের মতো রাজধানীতে ফিরবে মানুষ।
ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করা পদ্মা এক্সপ্রেসের গাড়িচালক বলেন, গতকালের চেয়ে আজ যাত্রী কিছুটা বেশি। ছুটি বেশি তাই মানুষ আসবে আরও পরে। আজ কিছুটা যাত্রী বেশি হলেও সব সিট ভরেনি। পথে আসতে আসতে কিছু যাত্রী পেয়েছি। ঢাকা আসতে পথে যানজট বা অন্য কোনো সমস্যা হয়নি।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে সকাল পৌঁনে ৯টায় সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছায় আল আরাফা এক্সপ্রেসের একটি বাস। ওই বাসের চালক বলেন, আজ যাত্রী কম তবে কাল থেকে যাত্রী বাড়বে। এবার ছুটি বেশি, মানুষ আসছে আস্তে আস্তে।
পটুয়াখালী থেকে সপরিবারে ঢাকায় ফিরেছেন চাকরিজীবী সোহেল মাহমুদ। তিনি বলেন, আমার ছুটি গতকালই শেষ, আজই আমার অফিস শুরু করতে হবে। একটু দেরি করে গেলে সমস্যা নেই, তাই সকালে চলে আসলাম। যখন যাত্রা করেছি তখন বাস মোটামুটি খালিই ছিল, পথে আসতে আসতে কিছু যাত্রী হয়েছে। ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও পথে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি।
সকালে সায়দাবাদের বাস টার্মিনালের আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে, দু-একটি বাস আসলেই সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চালক, অটোরিকশা চালকরা যাত্রীরা আশায় বাসটি ঘিরে ধরছেন।
বাস মালিকদের নিয়ে গঠন করা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এম আর ট্রান্সপোর্টের মালিক মো. শাহ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দু-একজন করে যাত্রীরা আসছে। গতরাতে যেসব গাড়ি গেছে সেগুলোর অনেকগুলোই সকালে এসেছে। তবে যাত্রী খুবই কম। আশা করি কাল থেকে ঢাকায় ফেরার যাত্রী বাড়বে। ঢাকায় ফিরতে সড়কে কোনো সমস্যা নেই। সড়কে বেপরোয়া গাড়ি চালানো রোধে আমরা একটা ব্যবস্থা নিয়েছি। যদি সিলেটে যেতে ১০০ লিটার তেল লাগে, সেক্ষেত্রে হয়তো ১০৫ লিটার তেল দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যদি কারও ১২০ লিটার তেল লাগে তাকে আমরা ধরছি। কারণ স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালালে বেশি তেল লাগার কথা না, গাড়ি বেপরোয়া চালালে অতিরিক্ত তেল লাগে। অতিরিক্ত তেল খরচ করা চালকদের আমরা সতর্ক করছি, তাদের বলছি প্রয়োজনে তোমরা চলে যাও।
এসআই