• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরিজীবী হজযাত্রীদের ৪৫ দিন ছুটির নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৪, ২০২৩, ০১:২৩ পিএম
চাকরিজীবী হজযাত্রীদের ৪৫ দিন ছুটির নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

ঢাকা : চলতি বছর হজে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন‌ এমন চাকরিজীবীদের ৪৫ দিন ছুটি মঞ্জুর করতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, একজন হজযাত্রীর হজের জন্য ৪২-৪৫ দিন পর্যন্ত ছুটির প্রয়োজন হয়। সে কারণে চাকরিজীবী কোনো হজযাত্রীকে এর চেয়ে কম সময় ছুটি দিলে বিমানের টিকিট ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হবে এবং এতে হজযাত্রীও সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তাই হজযাত্রীদের ৪৫ দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হোক।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মাদ শাহীন সই করা চিঠিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী পবিত্র হজে গমন করবেন। আগামী ২০ মে থেকে হজের ফ্লাইট শুরু হবে। বাংলাদেশ থেকে এত বিপুল সংখ্যক হজযাত্রীর সৌদি আরবে গমন এবং প্রত্যাগমনের জন্য রাজকীয় সৌদি সরকারের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন (জিএসিএ), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স এই তিনটি এয়ারলাইন্সকে হজযাত্রী পরিবহনের অনুমতি প্রদান করেছে।

এই ৩টি এয়ারলাইন্সের এয়ারক্রাফটের সক্ষমতা, হজযাত্রীর সংখ্যা এবং জেদ্দা ও মদিনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের অনুকূলে বরাদ্দকৃত স্লটের ভিত্তিতে হজ ফ্লাইট শিডিউল প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। হজ ফ্লাইট শিডিউল অনুসারে হজযাত্রীদের হজের সফরের সময় নির্ধারণ করা হয়।

ফলে একজন হজযাত্রীর হজের জন্য ৪২ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত ছুটির প্রয়োজন হয়। সে কারণে চাকরিজীবী কোনো হজযাত্রীকে এর চেয়ে কম সময় ছুটি দিলে বিমানের টিকিট ব্যবস্থাপনায় জটিলতা সৃষ্টি হবে এবং এতে হজযাত্রীও সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

তাই হজের সফরের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে চাকরিজীবী হজযাত্রীদের অনুকূলে অন্যূন ৪৫ দিন ছুটি মঞ্জুর‌ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। এর মধ্যে কোটা পূরণ না হওয়ায় নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়।

গত ২ মে শেষ দিন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত ১৫ হাজার কোটার মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৩৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজারের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ নয় হাজার ৪৪৭ জন। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!