• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে ১৫ জুন


কামাল শাহরিয়ার মে ২৯, ২০১৯, ০১:০৪ পিএম
৬৪ জেলায় প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে ১৫ জুন

ঢাকা: প্রশিক্ষকদের দু’দিনের প্রশিক্ষণ শেষে এবার সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা। ‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ স্লোগান নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইয়াং বাংলা।

আয়োজকরা জানান, দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২শ’ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ভেন্যুতে ১৫ ও ১৬ জুন স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরে ১৭ জুন তাদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে। আর, ১৮ ও ১৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে পাইথন প্রোগ্রামারদের জন্য প্রশিক্ষণ। তাদের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ২০ জুন।

শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে গত ২২ ও ২৩ মে, রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে দু’দিনের কর্মশালায় দেশের ৬৪ জেলার ৪০০ জন শিক্ষক, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ২০০ জন ল্যাব কো-অরর্ডিনেটরসহ মোট ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান হয়।

জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেশের সকল প্রাথমিক ওমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে নির্বাচিত ২শ’ ভেন্যুর বাইরেও প্রশিক্ষণ ও চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অ্যাসোসিয়েট কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ|

এদিকে, জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া। রেজিস্ট্রেশনের জন্য http://nctpc.srdlict.com ঠিকানায় লগইন করতে অনুরোধ করেছে আয়োজকরা। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ থাকবে।

গতবারের মতো এবারো চারটি ক্যাটাগরিতে হবে প্রতিযোগিতা। সংশ্লিষ্টসূত্রে, যেকোন বিদ্যালয়ের শিশু থেকে ২য় শ্রেণির শিক্ষার্র্থীরা স্ক্র্যাচ জুনিয়র, ৩য়-৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্ক্র্যাচ, ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথন জুনিয়র এবং ৯ম-১০ম শ্রেণি ও সদ্য পাসকরা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পাইথন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এবারই  এসএসসি পাসকৃতদেরও সুযোগ দিচ্ছে আয়োজকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২০০টি ল্যাবে শুরু হবে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ। প্রত্যেকটি ল্যাবে ওই অঞ্চলের সবকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রতিটি ল্যাবে গড়ে ৭৫জন করে দেশব্যাপী প্রায় ১৫০০০ শিক্ষার্থীকে এই প্রশিক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আয়োজকসূত্র জানায়, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে আইসিটি শিক্ষক এবং ল্যাব প্রশিক্ষক তার ল্যাবের সেরা প্রতিযোগীদের বাছাই করবেন। প্রতি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচের জন্য ৩জন করে টিম গঠন করা হবে, ৫টি টিমে মোট ১৫জন শিক্ষার্থী প্রতিটি ল্যাব থেকে স্ক্র্যাচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। পাইথনের জন্য প্রতিটি ল্যাব থেকে ১৫জন শিক্ষার্থী এককভাবে অংশ নেবে। প্রাথমিক ভাবে বাছাইকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রতি জেলা থেকে বিজয়ী স্ক্র্যাচ টিম এবং বিজয়ী পাইথন প্রতিযোগীরা জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে।সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা টিম। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!