• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১২০ বছরে প্রথম শিরোপা জিতল প্যালেস


ক্রীড়া ডেস্ক মে ১৮, ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
ম্যানসিটিকে হারিয়ে ১২০ বছরে প্রথম শিরোপা জিতল প্যালেস

ফাইল ছবি

ঢাকা: পুরো মৌসুমজুড়েই বারবার হোঁচট খাচ্ছিল সাবেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। একে একে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে ফিরতে হয় তিনটি বড় প্রতিযোগিতা থেকে। সান্ত্বনা হিসেবে পেপ গার্দিওলা এফএ কাপে চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আরও একবার তাদের হতাশ করেছে নিজেদের ইতিহাসে ১২০ বছরেও কোনো মেজর ট্রফি না জেতা দলটি। ১-০ গোলের জয়ে সিটি শিবিরে চূড়ান্ত নীরবতা নামিয়েছে ক্রিস্টাল প্যালেস।

গতকাল (শনিবার) লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা এফএ কাপের এই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে বেশিরভাগের চোখেই হয়তো ম্যাচের ফেভারিট নামটি ছিল ম্যানসিটির। কিন্তু শক্তি-সামর্থ্য আর তারকায় ঠাসা ক্লাবটি মৌসুমে নিজেদের হতাশার পুনঃচিত্রায়ন করল এদিন। বল দখলে ৭৫ শতাংশ আধিপত্য এবং ২৩টি শট নিয়েও ইতিহাদের ক্লাবটিকে হতাশা নিয়েই ফিরতে হলো। টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে হারল সিটি।

অন্যদিকে, এফএ কাপে এর আগেও দু’বার ফাইনাল খেলেছিল প্যালেস। প্রতিবারই তাদের ব্যর্থ করে দেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের সেই শোধ যেন নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী সিটির ওপর দিয়ে তুলতে চাইলো প্যালেস। মাত্র ৭টি শটের দুটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে তারা ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম মেজর কোনো শিরোপা জিতল। যেখানে এক পেনাল্টি ঠেকানোসহ আর্লিং হালান্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা ও জেরেমি ডকুদের ব্যর্থ করে প্রকৃত নায়ক বনে গেছেন প্যালেস গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন।

অবশ্য প্যালেসের জয়ের নায়ক বললে এভরেচি এজে’র নামটি শুরুর দিকে থাকবে। ম্যাচে তার মাত্র ষোড়শ মিনিটে করা গোলটিই পার্থক্য গড়ে দেয়। এর আগে ষষ্ঠ মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগটি পায় সিটি। ডি ব্রুইনার বাড়ানো বল লাফিয়ে জালের দিকে ঠেলে দিয়েও গোল পাননি হালান্ড। এভাবে টানা আক্রমণের ধারা ধরে রেখে সিটি প্যালেসকে তটস্থ করে রেখেছিল। কিন্তু এরই মাঝে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল খেয়ে বসে ইংলিশ জায়ান্টরা। ম্যাচসেরা কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল মুনোজের বাড়ানো বল পেয়ে এজে দারুণ ভলিতে প্যালেসকে এগিয়ে দেন।

একই কায়দায় মুনোজ আরও একটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন বটে, তবে সতীর্থ ফুটবলার ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলেন না এবার। অন্যদিকে, পিছিয়ে পড়ে মাথায় যেন রাজ্যের পুরো বোঝা চেপে বসে গার্দিওলার। বিরতির আগেই অবশ্য তার শিষ্যরা সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। ৩৬ মিনিটে বার্নার্দো সিলভাকে নিজেদের অর্ধে ফাউল করে প্যালেস। পেনাল্টি নেওয়ার সময় তৈরি হয় নাটকীয়তা। হালান্ডকে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেলেও, পরমুহূর্তে তিনি সেটি তুলে দেন ওমর মার্মাউশের হাতে। কিন্তু স্পটকিকে গোলরক্ষক হেন্ডারসনের লাফিয়ে পড়া দিকেই মেরে বসেন এই মিশরীয় তারকা।

একাধিক শট রুখে দেওয়ার মাধ্যমে সিটির বিপক্ষে লিড নিয়েই ফেরেন হেন্ডারসন। দ্বিতীয়ার্ধে তারা সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৫৭ মিনিটে। তবে ভিএআরে মুনোজের সেই গোল অফসাইড হিসেবে গণ্য হয়। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া সিটিও প্রাণপন চেষ্টা চালাতে থাকে। হালান্ড, ডোকুদের কিছু শট হেন্ডারসনের হাতে আটকায় তো কিছু আবার গেছে পোস্ট ঘেঁষে। এভাবে নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা ১০ মিনিটেও একই চিত্র ছিল। রেফারির চূড়ান্ত বাঁশি উৎসব নামায় প্যালেস শিবিরে। 

এসআই

Wordbridge School
Link copied!