• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রিকেটের জন্য থাকলে ফুটবলের আলাদা স্টেডিয়াম নয় কেন?


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯, ০৯:৩২ পিএম
ক্রিকেটের জন্য থাকলে ফুটবলের আলাদা স্টেডিয়াম নয় কেন?

ছবি: বাফুফে

ঢাকা: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই দেশের ক্রীড়াঙ্গণের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। বিভিন্ন ফেডারেশন ও ক্রীড়া সংস্থার সাথে মতবিনিময় সভায় ক্রীড়াঙ্গনকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার জেলাতে না হলেও প্রতিটি বিভাগে একটি করে ফুটবল স্টেডিয়াম করার আশ্বাস দিলেন নয়া ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।    

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এবং জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় এই আশ্বাস দিয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। সভায় বাফুফের কর্মকর্তাসহ ডিএফএ’র ৫১ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘দেশে ক্রিকেটের জন্য যদি আলাদা স্টেডিয়াম থাকতে পারে ফুটবলের জন্য থাকবে না কেন! ফুটবলের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম নিয়ে আমার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি বিভাগে যদি একটি করে স্টেডিয়াম করতে পারি এবং পরবর্তীতে যদি জেলা পর্যায়ে করতে পারি তবে ফুটবলে জাগরণ সৃষ্টি হবে। অবশ্যই আমার চেষ্টা থাকবে বিভাগীয় পর্যায়ে হলেও একটি করে স্টেডিয়াম যাতে ফুটবলের জন্য থাকে। সেটা নতুন হোক, কিংবা পুরনো। একটা স্টেডিয়াম যাতে ফুটবল পেতে পারে সে চেষ্টা থাকবে আমার।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জেলা সংগঠকরাও বলেছেন-জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্রিকেটের জন্য স্টেডিয়াম আছে। ফুটবলের জন্য কিন্তু আলাদা কোনও স্টেডিয়াম নেই এবং ফুটবলের জন্য জেলা স্টেডিয়ামের কখনও কখনও বরাদ্দ পায় না। আমরা প্রতিটি ডিএসএকে চিঠি দিয়ে জানাবো, যাতে ভবিষ্যতে একটা নির্দিষ্ট সময়ে যখন তারা কোনও লিগ অথবা টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে; সে সময়টুকু যাতে ডিএফএকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।’

প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের জন্য বার্ষিক ১২ লাখ টাকা দাবি করেছে বাফুফে। এ বিষয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রী ফুটবলের উন্নয়নে আন্তরিক, অর্থমন্ত্রী ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ। ফুটবল ফেডারেশন সভাপতির নেতৃত্বে একটি দলকে নিয়ে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় বসবো। সেখানে বাফুফের চাহিদাগুলো তুলে ধরা হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করবো আমরা।’

সভাকে ফলপ্রসু উল্লেখ করে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘প্রথমত আমরা চেয়েছি আর্থিক সহায়তা। তারপর চেয়েছি বছরে ৬ মাস যাতে ফুটবল মাঠ ব্যবহার করতে পারে। তারপর চেয়েছি অফিস। মন্ত্রী সাহেবের কথায় মনে হয়েছে তিনিও এ বিষয়গুলোরও উপর জোর দিচ্ছেন। আমরা সন্তুষ্ট। আমার মনে হচ্ছে এই মন্ত্রী সাহেবের অধীনে ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য আসবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!