অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতনের প্রস্তাব ফের অর্থমন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। 

একই সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের ৮ম, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের ৯ম গ্রেডে বেতনের প্রস্তাবও পাঠানো হবে জানান তিনি।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে এ প্রস্তাব পাঠানো হবে। যদিও অর্থমন্ত্রণালয় এ গ্রেডগুলোর একধাপ নিচে বেতন দিতে চাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।

এদিকে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মহাজোটের নেতা শাহিনূর আলামিন গণমাধ্যমকে বলেন, যদি ২০১৪ থেকে অর্থাৎ বেতন বৈষম্য শুরু হওয়া থেকে বকেয়াসহ সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতন দেয়া হয়, তাহলে শিক্ষকদের ক্ষতি হবেনা। তবে, বকেয়া না দেয়া হলে ২০১৯ থেকে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে সরকার আগামী ১৩ নভেম্বরের মধ্যে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি না মানলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বর্জনসহ লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা। গত ২৩ অক্টোবর শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মহাসমাবেশ পুলিশের বাধায় পণ্ড হলে এ ঘোষণা দেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

এর আগে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে চলতি মাসে শিক্ষকরা চারদিন বিভিন্ন মেয়াদে কর্মবিরতিও পালন করেন। এর মধ্যে গত ১৭ অক্টোবর পূর্ণদিবস, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস, ১৫ অক্টোবর ৩ ঘণ্টা এবং ১৪ অক্টোবর ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা।

প্রসঙ্গত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ ও সহকারীদের ১২তম গ্রেড দেয়ার প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসে দুই মন্ত্রণালয়। আলোচনায় পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও সহকারীদের ১৩তম গ্রেড দিতে সম্মত হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

সোনালীনিউজ/এইচএন