• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী


চাঁদপুর প্রতিনিধি জুলাই ২৭, ২০২০, ০৮:৩২ পিএম
ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর: করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে বসেই অনলাইনে লেখাপড়া চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে এতে শিক্ষার্থীদের পেছনে শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে অভিভাবকদের। আবার সামর্থ্য না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা কর্মসূচিতে যুক্ত হতে পারছে না। বিষয়টির সমাধানে শিক্ষার্থীদের বিশেষায়িত ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি।

তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট বিনামূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে করার চেষ্টা চলছে। খুব শীঘ্রই সুখবর পাবে শিক্ষার্থীরা।’  

সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে চাঁদপুরে করোনা পরীক্ষাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে লেখাপড়া চালাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে-এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য যেন স্বল্পমূল্যে আমাদের স্পেসিফিক কতগুলো ডোমেইনের মাধ্যমে যেই ক্লাসগুলো করাচ্ছি এবং করাবো সেক্ষেত্রে বিনামূল্যে করতে পারলে তো খুবই ভালো। তা না হলে সেগুলো তারা যেন স্বল্পমূল্যে অ্যাকসেস করতে পারে সেটির জন্য আমরা বিভিন্ন টেলিফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নেগোশিয়েট করছি। আমি আশা করছি, খুব শীঘ্রই একটা সুখবর পাবো।

শিক্ষাবর্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনও অসুবিধা নেই। আমাদেরতো ক্লাস চলছেই। আমরা মনে করছি, যথাযথ সময়ের মধ্যেই আমরা আমাদের সিলেবাস শেষ করতে পারবো। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ারও নানারকম ব্যবস্থা করছি। আমার মনে হয় না, আমাদের শিক্ষার্থীদের খুব বেশি পিছিয়ে পড়া বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, তবে আমরা এখনও শতকরা একশভাগ সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না- এটি সত্য। যে ৮-১০ ভাগের কাছে আমরা পৌঁছাতে পারিনি তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছানো যায়- সে চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি যদি একান্তই না পারি সেক্ষেত্রে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাবে তখন তাদেরকে সে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

চাঁদপুরে করোনা পরীক্ষাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মানুষের দাবি ছিল। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এম ওয়াদুদ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এটি করা হয়েছে, এতে আমাদের সঙ্গে চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ আছে। আমাদেরকে ৮টি পিসিআর মেশিনসহ নানারকমভাবে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। এ কাজে সকলের সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কারণ, সদর হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি করার কথা জানালে তখনই তিনি বলেছেন আর্থিক সহযোগিতা দেবেন। সে উৎসাহতেই আমি এই পিসিআর ল্যাব করার বিষয়টি চিন্তা করতে পেরেছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাস, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. জামাল সালেহ উদ্দীন আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!