• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একীভূত হচ্ছে শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ০২:৪৬ পিএম
একীভূত হচ্ছে শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট

ঢাকা : ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট একীভূত করা হচ্ছে। দুটি সংস্থাকে একীভূত করতে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ দুটি বিষয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৭৭ সালে শেরে-বাংলা নগরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিচ্ছিন্ন ও সীমিতভাবে দরিদ্র রোগাক্রান্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হতো। পরবর্তী সময়ে শিশুদের সার্বিক চিকিৎসার জন্য এটি একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল কোনো আইনগত ভিত্তির ওপর নয় অধ্যাদেশের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ‘ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশ-২০০৮’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

নবম জাতীয় সংসদের বিশেষ কমিটির সুপারিশের আলোকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জারি করা ১২২টি অধ্যাদেশের মধ্যে ৫৪টি অধ্যাদেশ অনুমোদন করা হয়। অননুমোদিত ৬৮টি অধ্যাদেশের মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতাল অধ্যাদেশও রয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালের কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের বিধান সংবলিত কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ আইন বা অধ্যাদেশ নেই।  হাসপাতালটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে উক্ত অধ্যাদেশের আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ণের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের খসড়ায় ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটকে একীভূত করে ২১টি ধারা সংবলিত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

এ আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউটের সুষ্ঠু পরিচালনা ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড সার্বিকভাবে একটি ব্যবস্থাপনা বোর্ডের ওপর ন্যস্ত থাকবে। এজন্য একজন চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্যের ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠিত হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মনোনীত সদস্যরা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে তিন বছরের জন্য বহাল থাকবেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একটি আইনের মাধ্যমে ঢাকা শিশু হাসপাতাল পরিচালিত হলে সর্বস্তরের শিশুদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে একটি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে হাসপাতালটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এজন্য আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন জোরদার করার জন্য এ চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৪৪টি দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি বিদ্যমান। এ চুক্তির মাধ্যমে গ্রিস ও বাংলাদশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময় এবং সম্প্রসারণ হবে। আর দুদেশের কোনো পক্ষ এ চুক্তি বাতিল করতে চাইলে ৬ মাস আগে অপরপক্ষকে জানানোর বিধান এ চুক্তিতে রাখা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সবসময়ই আলোচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য কোরিয়া থেকে টেকনোলজি সমৃদ্ধ স্ক্যানার মেশিন আনা হচ্ছে। এই স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব হবে। আর এই স্ক্যানার মেশিন দেশের সকল বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌ-বন্দরে স্থাপন করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!