• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এদেশে সবচেয়ে অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, সমাধানের ৪ উপায়


ঝিনুক সঙ্খ দিপু ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০, ০৯:৩৭ এএম
এদেশে সবচেয়ে অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, সমাধানের ৪ উপায়

এদেশে সবচেয়ে অবহেলিত প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার। বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন আইন আর পরিপত্র জারীর মাধ্যমে চলছে এ বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মচারী তথা শিক্ষকবৃন্দ।

পাঠদানের সুবিধার কথা বলে জানুয়ারী টু মার্চ নির্ধারণ করা হয়েছে বদলীর সময়সূচী। অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ক্ষেত্রে যা সারা বছরই কার্যকর। ব্যতিক্রম শুধু সবার দ্বারা শাসিত এই অবহেলিত শিক্ষকরাই।

এই তিন মাস সময়ের মধ্যেও আবার জুড়ে দেয়া আছে অসংখ্য কঠিন ও অপূরণীয় সব নীতিমালা।যেমন-পাঁচজন কর্মরত না থাকলে বদলী হওয়া যাবে না, সিনিয়রকেই বদলী করতে হবে, পারস্পরিক বদলী হওয়া যাবে না এমনতর কঠিন থেকে কঠিনতর আরো কত আইন।

এই আইনের কঠিন গ্যাড়াকলে পরে বদলী হতে ইচ্ছুক শিক্ষকবৃন্দ এখন দিশেহারা। আমি আমার এলাকার কথাই বলছি। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ৬০ ভাগ শিক্ষক মহিলা। অঞ্চলটি হাওর বেষ্টিত।

যেখানকার অনেক বিদ্যালয়েই ৩/৪ জনের মতো শিক্ষক কর্মরত। পরিজনকে বাড়ীতে রেখে লজিং থেকে পেটের তাগিদে চাকুরী করে আসছে। বদলীর নীতিমালার কারণে বদলী বঞ্চিত। সারা জীবনভরই হয়তো এই অবস্থা চলবে।

একসময় পেনশন নিয়ে তবেই পরিজনের সাথে নিশ্চিতে সংসারে সময় কাটাতে পারবে। আবার মহিলা শিক্ষকদের জন্য স্বামীর কর্মস্থল বা বাসস্থানে বদলীর বিধান থাকলেও বদলীর এই আজব নীতিমালার কারণে বিয়ের দীর্ঘদিন পরও বদলী বঞ্চিত। তাহলে বদলীর এই আইন কার জন্য প্রনয়ণ?

যদি শিক্ষকই বদলী হতে পারল না? এ ছাড়াও কর্তৃপক্ষ কর্তৃক হয়রানীর কথা নাই লিখলাম! তাই প্রাথমিকের শিক্ষকদের নিকট হতে শতভাগ আদায় করতে তাঁদেরকে প্রার্থীত বিদ্যালয়েই বদলী বা পদায়ন করা উচিত বলে করি। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে বদলীর নীতিমালা পরিবর্তন এখন সম়য়ের দাবী। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের সমস্যা বিবেচনায় রেখে আমার প্রস্তাব:-

১: যেখানেই শিক্ষকতা করুকনা কেন আর যত সংখ্যক শিক্ষক কর্মরত থাক না কেন নির্দিষ্ট সময় (৩ বছর) পর তিনি সুবিধাজনক স্থানে আবেদনের প্রেক্ষিতে শূন্যপদ সাপেক্ষ বদলী হতে পারবেন। বদলীর ফলে শিক্ষক শূন্য হলে ডেপুটেশনের মাধ্যমে পাঠদান চালু রাখতে হবে।

২: পরস্পর পরস্পরের সুবিধার্থে আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলী হতে পারবেন।

৩: বিবাহের পর স্ত্রী তাঁর স্বামীর কর্মস্থলে বা বাসস্থানে আবেদনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বদলীর সুপারিশ প্রাপ্ত হবেন।

৪: সিনিয়রটি নয় এলাকা বা বাসস্থান ভিত্তিক শূন্যপদে আগ্রাধিকার পাবেন।

আমার ধারণা সব দিক বিবেচনা পূর্বক এমনতর বদলীর নীতিমালা চালু করলে শিক্ষকরা দুঃশ্চিন্তা মুক্তভাবে পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারবেন।।

ঝিনুক সঙ্খ দিপু, প্রাথমিক শিক্ষক (ফেসবুক থেকে নেওয়া)

Wordbridge School
Link copied!