ঢাকা : রাজধানীর ওয়ারীতে নিহত সামিয়া আফরিন সায়মার (৭) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পেয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ।
ময়নাতদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিকভাবে তার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোহেল মাহমুদ আরো বলেন, ময়নাতদন্তে তার যৌনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন, ঠোঁটে কামরের দাগ দেখা গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে শনিবার (৬ জুলাই ) সকালে সায়মার বাবা আব্দুস সালাম অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরীসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ ।
পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার সকালে শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ওয়ারী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সামসুজ্জামান মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়।
মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।’
নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন।
নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ আদায়ে মসজিদে যাই। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। বাসায় এসে দেখি সায়মা নেই। আমি, আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয়তলা ও আটতলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আটতলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।’
ওয়ারী থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মাগরিবের নামাজের সময় মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার একটি কক্ষ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
সোনালীনউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :