• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘কমপক্ষে ২০০ কোটি তো মরবেই’


ফেসবুক থেকে ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০৬:১১ পিএম
‘কমপক্ষে ২০০ কোটি তো মরবেই’

ঢাকা: পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা নিয়ে এর আগেও কথা বলেছেন বাংলাদেশের আলোচিত-সমালোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবার তিনি বলেন, পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে পারমাণবিক বোমার ট্রিগার টিপলে কমপক্ষে ২০০ কোটি তো মরবেই।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তসলিমা নাসরিন।

তিনি লেখেন, মনে হচ্ছে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। নিরপরাধ মানুষ মরুক চাই না। জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়া হোক, ঠিক আছে। দু’দেশ যেন একটি কাজ না করে, পারমাণবিক বোমার ট্রিগার যেন না টেপে। তাহলে উপমহাদেশের সবাই কিন্তু নিশ্চিত মরবে। কমপক্ষে ২০০ কোটি তো মরবেই।

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক স্ট্যাটাস।

এর আগে একই দিনে দেয়া আরেক স্ট্যাটাসে তসলিমা লেখেন, আমি বরাবরই রাজনীতি কম বুঝি। ঠিক বুঝতে পারছি না কী ঘটেছে পাকিস্তানে। ভারত দাবি করছে- পাকিস্তানের বালাকোটে এক হাজার কিলো বোমা ফেলে সন্ত্রাসী জইশ-ই-মোহাম্মদের ক্যাম্প ধ্বংস করে দিয়েছে, তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ সন্ত্রাসী বোমায় মারা পড়েছে।

ওদিকে পাকিস্তান বলছে- জঙ্গলে গিয়ে বোমা ফেলেছে ভারত; কিন্তু কেউ মরেনি- এক লোক খানিকটা শুধু জখম হয়েছে। পাকিস্তানের টিভিতে একটি কপালে ব্যান্ডেজ বাঁধা লোককে দেখানো হলো।

আমার প্রশ্ন- এতগুলো লোক মরলো, হইচই কোথায়? আহতদের নিয়ে তো হাসপাতালে ছোটাছুটি হওয়ার কথা। কেউ না কেউ তো নিহতদের ছবি আর কোথাও না হোক, অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবে।

পাকিস্তানের সরকার বা মিডিয়া যদি খবর লুকায়, বালাকোটের সাধারণ মানুষও কি চুপ করে থাকবে! নেটে কিছু খুঁজে পেলাম না। জানিনা কে মিথ্যে বলছে।

ভারতের মানুষ খুশি, বদলা নেয়া গেছে। পাকিস্তানের মানুষ খুশি, ভারত কাউকে মারতে পারেনি। মানুষ খুশি থাকলেই ভালো।

খুশি থাকো, মিলেমিশে থাকো। সন্ত্রাস করো না, মানুষ মেরো না। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে লড়াই হলে আমার শুধু মনে হয়- ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই হচ্ছে।

একসময় তো একই দেশের মানুষ ছিল। পার্টিশানটা করেই শত্রুতা বাড়াল। ভারতকে এখন সন্ত্রাসী প্রতিবেশীদের নিয়ে বাস করতে হয়।

পার্টিশান না করলে এত মুসলমান কি সন্ত্রাসী হতো? একটা গণতন্ত্রের মধ্যে থাকা আর একটা ধর্মীয় দেশে থাকার মধ্যে পার্থক্য আছে না?’

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!