• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রেসক্লাবে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল

খালেদা জিয়া মুক্ত করতে কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলন করতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯, ০৪:০০ পিএম
খালেদা জিয়া মুক্ত করতে কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলন করতে হবে

ঢাকা: দেশের আদালতগুলোতে যখন ন্যায় বিচার বন্ধ হয়ে যায়, তখন সবার অলক্ষ্যে আর একটি আদালত বসে। সেটি হচ্ছে জনতার আদালত। এ আদালতে কোনো এজলাস নেই, লাল টেলিফোন নেই, খাস কামরা নেই। এ আদালত বসে দেশের মাঠে, ঘাটে, বটতলায়, গ্রামে-গঞ্জে। এই আদালত শুধু ন্যায় বিচারের রায়ই দেয় না, অপরাধীদের কঠিন শাস্তিও দেয়। আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি হবে না। কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলন করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারের পতন ঘটিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। 

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মৎস্যজীবী দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশের নিন্ম আদালতে কোনো ন্যায় বিচার নেই। উচ্চ আদালতে কিছুটা বিচার পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কোনো আদালতেই বিচার পাচ্ছেন না। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও নাজমুল হুদা এবং মোফাজ্জল হোসেন মায়াসহ অনেক অপরাধী জামিন নিয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আনন্দ করছেন। আমাদের নেত্রী অন্যায়ভাবে অমানবিকভাবে আটক রয়েছেন। তিনি জামিন পাচ্ছে না। বিচারকরা শুনানি করলেও আবার বিরতি নেন, মানে লাল টেলিফোনে কথা বলেন। ওনারা সিনহা সাহেবের পরিণতির ভয় করেন। আপনারা সঠিক কাজই করুন। বাঘ হতে না পারলেও যেন বাঘের লেজ হতে পারেন। সেভাবেই কাজ করতে হবে।

হাবিব-উন-নবী খান বলেন, এইকালে পার পেলেও  পরকালে একটি আদালত বসবে। সেখানে আপনারা বসবেন না। সেদিনের বিচার থেকে আপনারা আর পার পাবেন না। তিনি আরও বলেন, যারা ছাত্র রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে তাদেরকে শুধু বহিষ্কার করলেই হবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে এদের যারা গডফাদার তাদেরকেও  বিচারের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় ডা.এজেএম জাহিদ হোসেন বলেন, জামিন পাওয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু আজ ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেত্রীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া হেঁটে আদালতে গেলেও আজ হুইল চেয়ার ছাড়া অন্যের সহায়তা ছাড়া নিজস্ব কোনো কাজই করতে পারছেন না। তারপরও চিকিৎসকরা বলছেন খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন।

তিনি আরো বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন জিয়াউর রহমান। আজ সোনার ছেলেরা  ভিসির কাছেও চাঁদা দাবি করে। টাকা পাচার হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই বাংলাদেশ দারুন জায়গা। দুদিন আগে হোক পড়ে হোক বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।

মানববন্ধনে মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে মানববন্ধবে বক্তব্য রাখেন- মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, সেলিম  মিয়া, হাবিবুল হক হাবিব, উমর ফারুক পাটোয়ারী, জাকির হোসেন প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!