• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
পদ্মাসেতুর অগ্রগিত ৮৪ শতাংশ

জাজিরা প্রান্তে হবে অত্যাধুনিক মিলিটারি ফার্ম


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৭, ২০১৯, ০৪:২৩ পিএম
জাজিরা প্রান্তে  হবে অত্যাধুনিক মিলিটারি ফার্ম


মুন্সীগঞ্জ : সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মাসেতুর অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, মূল সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর সব পিলারের পাইল ড্রাইভিং এর কাজ সমাপ্ত।  ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩২টি পিলারের কাজ সমাপ্ত। সর্বমোট চীন থেকে মাওয়ায় এখন পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান এসেছে। যার মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে পিলারের উপর। ১৫তম স্প্যান জাজিরা প্রান্তে ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের উপর স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া ৪টি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে ও ১০টি স্প্যান পদ্মার চর এলাকায় আছে স্থাপনের অপেক্ষায়। পদ্মার মতিগতি ও মন মেজারের উপর নির্ভর করবে স্প্যান বসবে কবে।

বৃহস্পতিবার(১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি পদ্মাসেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এলাকায় সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো জানান, রেলওয়ে স্ল্যাবের জন্য মোট ২ হাজার ৯৫৯টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাবের প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৯১টি স্ল্যাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। নভেম্বর মাসের দিকে বাকি ¯ø্যাব তৈরির কাজ শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব ৩৬১টি ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের পাইলিং পিয়ার ক্যাপের কাজ শেষ। বর্তমানে গার্ডার ও রেলওয়ে স্ল্যাব স্থাপনের কাজ চলছে। মাওয়া ও জাজিরায় ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৪৩৮টি সুপার টি গার্ডার প্রয়োজন হবে। যার মধ্যে ১৫৫ টির গার্ডারের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

এছাড়া ৫৬টি জাজিরা প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে। রেলওয়ে ভায়াডাক্টের জন্য মোট ৮৪টি আই গার্ডারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত গার্ডারের মধ্যে জাজিরায় ৪২টি স্থাপন করা হয়েছে। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। নদীশাষন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ ও আর্থিক অগ্রগতি ৫০.৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন কাজের মধ্যে ০৬.৬০ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে। নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮৭০৭.৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় ৪,৩৮৮.৪৬ কোটি টাকা। সংযোগ সড়কের কাজের অগ্রগতি শতভাগ সম্পন্ন। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ । ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।

আরো জানান, আজকে আমাদের সেতু মন্ত্রণালয় সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এমইও স্বাক্ষরিত হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে আধুনিক ও উন্নত মানের মিলিটারি ফার্ম স্থাপন করা হবে। এর জন্য সব জমি মিলিয়ে ৫৯ একর জমি প্রয়োজন হবে। সেতু মন্ত্রণালয় এমইও মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করবে। সেখানে দুধ আর মাংস উৎপাদন হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গবাদি প্রাণির প্রজনন ও জাত উন্নয়ন, অর্থনীতিতে জিডিপিতে উন্নতি রাখবে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। এই জায়গাটুকু আমাদের পদ্মাসেতুর কোন কাজে লাগবে না।

সোনালীনিউজ/এমএস/এএস

Wordbridge School
Link copied!