• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাবির খালেদা জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা


জাবি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ০৫:৫৫ পিএম
জাবির খালেদা জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা

ছবি: সোনালীনিউজ

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বেগম খালেদা জিয়া’ হলের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়েছে জাবি ছাত্রলীগের বিতর্কিত এক নেতা। রোববার (৯ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর এ কাজ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তর ও তার দুই-তিনজন অনুসারী ওই হলের সামনে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামফলক ও প্রতিকৃতিতে ক্রস চিহ্ন দেয় এবং একটি কাপড়ের ব্যানারে ‘রোকেয়া হল’ লিখে খালেদা জিয়ার নাম ঢেকে দেয়। এ সময় হল প্রশাসন, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক কেউই উপস্থিত ছিলেন না। হল গেটে অবস্থানরত প্রহরীকে জাগিয়ে এ কাজ করে অন্তর।

পরবর্তীতে ভোরে হল প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার নামফলক ও প্রতিকৃতিতে ক্রস চিহ্ন এবং ‘রোকেয়া হল’ নামের ব্যানারটি সরিয়ে নেয় বলে জানান হল ওয়ার্ডেন ড. মো আওলাদ হোসেন। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সফিয়ান, ‘অন্তর আমাদেরকে জানিয়ে এ কাজ করেনি। আমাদের কোনো নির্দেশনাও ছিল না। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

আপনি কেন একাই নাম পরিবর্তন করতে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হামজা রহমান অন্তর বলেন, ‘বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বলার মতো কোনো অবদান নেই তাই তাঁর নামে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আবাসিক হল থাকা লজ্জাজনক। এই লজ্জার দায় থেকে এই কাজ করেছি।’

এদিকে খালেদা জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। এ ছাড়াও গতকাল রাতে অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে রাতে ওই হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আবেদন করেন। এদিকে হলের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কারারুদ্ধ সভাপতি সোহেল রানা ও সম্পাদক আব্দুর রহমান সৈকতের পক্ষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন এ প্রতিবাদ জানান। এদিকে এহেন কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগের অনেক সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ঘৃণার রাজনীতি পরিহার করতে বলেন।

এদিকে বিতর্কিত এই ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে হাইলাইট করতে বারবার বিতর্কিত কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের। এর আগে এই নেতা আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে যুদ্ধাপরাধী ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছিল অন্তর। এর আগে দোল উৎসবে এক ছাত্রীকে জোর করে রঙ মেখে দেওয়ার অভিযোগে তিন মাসের বহিষ্কার হয়েছিলেন এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!