• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকে নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৭:২৬ পিএম
প্রাথমিকে নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে বর্তমান সরকার। কখনও শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধি করে আবার কখনও নতুন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার এ ভিত্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিনদিন উন্নত করাই প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ।

এবার পার্বত্য চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহী অঞ্চলের উপজাতিদের কথা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃ-গোষ্ঠীর জন্য স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবছে সরকার।

শুরুতে প্রাক-প্রাথমিক এবং পরে প্রাথমিক স্তরে এ কার্যক্রম শুরু হবে। পরিমার্জিত শিক্ষা আইন ২০১৯-এর খসড়ায় এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র মতে, মারমা, চাকমা ও ত্রিপুরা এই তিন নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সাল থেকে নিজ মাতৃভাষার পাঠ্যবই পেলেও বেশ কিছু নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা নিজ ভাষায় বই পায়না।

আবার নিজ ভাষার পাঠ্যবই পেলেও হাতে-কলমে শেখানোর মতো প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা তা ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারেনা। আর এসব বিষয় বিবেচনা করেই উপজাতিদের জন্য স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে।

শিক্ষা আইনের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের ০২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে- সরকার ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও নৃ-গোষ্ঠীর জন্য পর্যায়ক্রমে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে।

এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে অনগ্রসর এলাকা বা অঞ্চলের বিষয়েও সরকারের চিন্তাভাবনার কথা বলা হয়েছে। আইনের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের ০৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, অনগ্রসর এলাকা বা অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করিবে।

বৈষম্যহীন শিক্ষাক্রম প্রণীত হবে উল্লেখ করে ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, সকল শিশুর জন্য বৈষম্যহীন শিক্ষাক্রম প্রণীত হইবে। যাতে লিঙ্গ, ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধিতা অথবা অন্য কোন কারণে শিশুর প্রতি কোনরূপ বৈষম্য না করা হয়। প্রাক-প্রাথমিক হইতে মাধ্যমিক স্তরের ৩ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠি শিশুদের শিখন-চাহিদা অনুসারে অতিরিক্ত পাঠ্যপুস্তক সংযুক্ত করা যাইবে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর দাবি করে আসছিলো, তাদের বিদ্যালয়গামী শিশুদের বেশিরভাগই বাংলা ভাষায় পড়া আয়ত্ত করতে পারে না। এতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ঝরে যায় অনেক শিশু।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!