• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরেই যেসব ‘বিপদের’ সম্মুখীন হবেন সেই ভারতীয় পাইলট


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম
ফিরেই যেসব ‘বিপদের’ সম্মুখীন হবেন সেই ভারতীয় পাইলট

ঢাকা : পাকিস্তানে আটক হওয়ার প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টা পর দেশে ফিরলেন ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। সেই উপলক্ষে উৎসবের আবহ দেশজুড়ে। অভিনন্দনকে স্বাগত জানাতে ওয়াঘা সীমান্তে ভিড় জমিয়েছিলেন জনে জনে মানুষ।

কিন্তু দেশে ফিরেই কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি? সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, অসীম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন অভিনন্দন বর্তমান। ১৯৭০ সালে তৈরি পুরনো মিগ-২১ নিয়ে অত্যাধুনিক পাক যুদ্ধবিমান এফ-১৬কে তাড়া করে সে দেশে ঢুকে পড়েন তিনি। এর জন্য অবশ্যই প্রশংসা প্রাপ্য তাঁর। কিন্তু শত্রুদেশের হেফাজত থেকে ফিরেছেন, দফায় দফায় জেরার মধ্য দিয়ে যেতেই হবে তাঁকে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে দেশে ফিরে অভিনন্দন জে কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন।

বিমানবাহিনী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তার ইঙ্গিত মিলেছে—ওয়াঘা সীমান্ত থেকেই বাড়ি ফিরতে পারবেন না অভিনন্দন। বরং সেখান থেকে সরাসরি বিমানবাহিনীর গোয়েন্দাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে।

বেশ কিছু ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে অভিনন্দনকে। দেখা হবে তিনি ফিট কিনা।

বন্দিদের শরীরে অনেকসময় মাইক্রোচিপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আড়ি পেতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেয় শত্রুপক্ষ। অভিনন্দনের শরীরে সেরকম কোনও চিপ বসানো হয়েছে কিনা, তা স্ক্যান কেরে দেখা হবে।

মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে। বন্দি থাকা অবস্থায় ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত তথ্য হাতাতে শত্রুপক্ষ তাঁকে অত্যাচার করেছে কিনা তা জানার চেষ্টা করা হবে। পাকিস্তানে কোনও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কিনা দেখা হবে তাও।

অভিনন্দনকে জেরা করতে আনা হতে পারে ইনটেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র) আধিকারিকদেরও। তবে সচরাচর পাইলটদের তাঁদের হাতে তুলে দেয় না বিমানবাহিনী। তাই অভিনন্দনের ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে।

পাকিস্তানে পা রাখা থেকে ওয়াঘা সীমান্ত পার করা, গোয়েন্দাদের প্রতি মুহুর্তের সবিস্তার বর্ণনা দিতে হবে অভিনন্দনকে। বন্দি অবস্থায় তাঁর কাছে কী কী জানতে চাওয়া হয়, তা জানাতে হবে তাঁকে।

শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন। সেখানে তাঁর সঙ্গে কোনও গোপন রফা হয়নি তো পাকিস্তানের? তথ্য পাচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে ফিরে আসেননি তো তিনি? দফায় দফায় জেরা করে তাও নিশ্চিত করবেন গোয়েন্দারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেরা এবং ডাক্তারি পরীক্ষায় নিজেকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম প্রমাণ না করতে পারলে, আর কোনওদিনই হয়ত যুদ্ধবিমানের চালক হতে পারবেন না অভিনন্দন। সে ক্ষেত্রে ডেস্কের কাজে বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে তাঁর সঙ্গে কোনওরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে না। খেয়াল রাখা হবে, কোনও পরিস্থিতিতেই তাঁকে যেন অসম্মানিত হতে না হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!