• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা একাডেমি ডিজির এক স্ট্যাটাসে ৩২টি বানান ভুল!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬, ০১:০০ পিএম
বাংলা একাডেমি ডিজির এক স্ট্যাটাসে ৩২টি বানান ভুল!

বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) শামসুজ্জামান খান সম্প্রতি নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত। বিশেষ করে তার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস স্যোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

যেই বাংলা একাডেমির বানান রীতিতে চলছে সবখানে, সেই একাডেমির মহাপরিচালকের দেয়া ২৬৬ শব্দের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে ৩২টি বানান ভুল!

বৃহস্পিতবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান তাঁর ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসটি দেন।

তাঁর সেই স্ট্যাটাসটি জন্য হুবহু প্রকাশ করা হলো- 

‘আত্ম প্রচার করতে চাইনি, কিন্ত যে মিথ্যাচার করা হচ্ছ তাতে কিছু কথা বলা জরুরী হয়ে পড়েছে। তা নাহলে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে তরুনদের কাছে। এখনকার তরুনরা এসব ইতিহাস জানেনা। 

তরুন সাংবাদিকরাও তাই। তাই তারা চতুর ফন্দীবাজ ও যেকোনও ভাবে সংবাদপত্রের পাতায় থাকার কৌশল করছে, এবং প্রতি বছরই এই নাটক করে এমন এক প্রকাশক নামধারীর পাল্লায় পড়েছ। সে নাকি মুক্তবুদ্ধির পক্ষের লোক। যে বইকে সে মুক্তবুদ্ধির বই বলে গত বছর রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রচার করে সে বইটি আসলে মুক্তবুদ্ধিচর্চা ধ্বংস করার বই। 

এ বইয়ের বিরোধিতা করে আমি নাকি মুক্তবুদ্ধিচর্চার ওপর আঘাত হানছি। এত বড় মিথ্যাচার আর হয়না। সত্য হল অমি বংশ পরম্পরার মুক্তবুদ্ধিচর্চার লোক। সে ঐতিহাসিক দলিলপত্র আমার অফিসে এলে দেখাতে পারি। প্রপিতামহ, পিতামহ পিতা সবাই মক্তবুদ্ধির অনুসারী ছিলেন।

যাহোক, সে ইতিহাস বিস্তারে লিখবো পরে। এখন বর্তমানে ফিরি। ১৯৭৫ সালের পর লেখক- সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে আমিই প্রথম মক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য স্বৈর সামরিক শাসন আমলে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী NSI কর্তৃক ধৃত হই। 

আমার দোষ ছিল বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের একুশের আলোচনায় বিষয় দিয়েছিলাম : মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখা আন্দোলন (১৯২৬ )। স্মর্তব্য যে এরাই বাঙালি মুসলমানদের মধ্য প্রথম প্রগতিশীল; এদের শ্লোগান ছিল : বুদ্ধির মুক্তি, ‘Imancipation of Intellect ‘ . 

এদের নেতা কাজী আব্দুল ওদুদকে ঢাকা ছেড়ে কলকাতার চলে যেত বাধ্য করা হয়। আমাকে পূর্বোক্ত গোয়েন্দা সংস্থাও দিনভর মানসিক নির্যাতনের পর চট্টগ্রাম বদলি করা হয়। আমাকে এই বিপদে ফেলার মূলে ছিলেন জিয়ার মন্ত্রী আকবর কবীর (খুশি কবীরের পিতা ; তাই গতকাল ওদের সঙ্গ তার যোগদান খুব তাৎপর্যপূণ) খোন্দকার আব্দুল হামিদ, মনিরউদ্দিন ইউসুফ ও বাংলা একাডেমির তৎকালীন ডিজি আশরাফ সিদ্দিকী। 

হায়! এখন মুক্তবুদ্ধিচর্চার নতুন ধান্দাবাজদের এই কুমভিরাশ্রারু দেখে মনে হয় ধরণী দ্বিধা হও। ক্রমশ:'

সম্প্রতি বই মেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেয়নি বাংলা একাডেমি। এ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে সবখানে। আর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘সাংবাদিকরা মূর্খ, সমালোচকরা অশিক্ষিত।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!