• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতীয় হিন্দু লেখিকা

বাবরি মসজিদ ও মুসলমানদের পক্ষে লিখলেন তনুশ্রী


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১২, ২০১৯, ০৩:৫৫ পিএম
বাবরি মসজিদ ও মুসলমানদের পক্ষে লিখলেন তনুশ্রী

ঢাকা : পাঁচশ’বছরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও উপাসনালয় ভেঙে সেই জমিতে এক রাজনৈতিক রামমন্দির নির্মাণের মতো পাপাচারের বিরোধি’তা করুন পাবলিক ডোমেনে।

আপনি হিন্দু ঘরে জন্মেছেন যদি, তবে আপনার দায় আরো বেশি, কারণ এই পাপ হচ্ছে আপনার নামে। বিরোধিতা না করার মানে, আপনার তিন পুরুষের ভিটে কোনোদিন যদি বেহাত হয়, তাকেও ঘুরিয়ে ন্যায্যতা দেওয়া। পাঁচশ’ বছরের পুরনো স্থাপত্য কোন বানানো বয়ানের ভিত্তিতে মিথ্যে হয়ে যেতে পারে না।

এই যুক্তি মেনে নিলে আপনার ভিটের দাবি আপনার থাকে না, গ্যারান্টি। এএসআই কোন প্রমাণ দিতে পারেনি মন্দিরের। সুপ্রিমকোর্ট নিজেও তাই বলেছে। এই রায় অন্যায়ের পথে গেছে। সত্যিটা সত্যিই। সুপ্রিমকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরাই বলেছেন এই রায় বিভ্রান্তিমূলক এবং ইনজাস্টিস। অনেকেই বলছেন এই মসজিদ ভেঙ্গে হাসপাতাল তৈরী করা হোক। আমি এই দাবির বিপক্ষে, একটা প্রাচীন স্থাপত্য ভেঙ্গে হাসপাতাল করার কোন মানে হয়না।

হাসপাতালের জন্য ভারতবর্ষে জায়গার অভাব হবেনা, এই পুরনো স্থাপত্য ভাঙলে সেটা আর পাওয়া যাবেনা। “হায়া সোফিয়া” বলে তু’রস্কে এক সুবিশাল মিউজিয়াম আছে। ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত এটি একটি খ্রিস্টান চার্চ ছিল। তারপর মুসলমান তুর্কদের ইস্তানবুল দখলের পর এটিকে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর তুরস্কে প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হলে খ্রিস্টানরা তাদের চার্চ ফেরত চায়।

অন্যদিকে প্রায় ৫০০ বছর সুবিশাল স্থাপত্যটিতে মুসলমানরা বলে তারা এটিকে মসজিদ করে রাখবেই। কামাল আতাতুর্কের প্র’জা’তান্ত্রিক সরকার কারো কথা না শুনে ইস্তানবুলের এই সুমহান ঐতিহাসিক স্থাপত্যটি’কে মিউজিয়ামে পরিণত করে, দেশের মিশ্র ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে। আমি মনে করি এখানেও তাই করা উচিত।

উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। ঠিক সেই মুহুতে এই তনুশ্রী এক স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায়। যেটা বাংলাদেশের পাঠকের রিদয়ে স্থান করেন নেন ভারতের এই লেখিকা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!