• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৫, ২০১৮, ০৯:৪৭ এএম
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকা: আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর বাবা।

রাজধানীর পল্টন থানায় অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করেন।
 
ডিএমপির সহকারী কমিশনার (মতিঝিল জোন) মিশু বিশ্বাস বলেন, মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অরিত্রীর পিসতুতো ভাই ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার জানিয়েছেন, মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরা এবং শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছে।

অধ্যক্ষ নাজনীন রাতে বলেন, শুনেছি আমাকেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এর আগে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বাবাকে ডেকে অপমান করায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী সোমবার দুপুরে শান্তিনগরের ৭ তলার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৪টার দিকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অরিত্রি অধিকারী ভিকারুন্নেসা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী একজন কাস্টসম (সিঅ্যান্ডএফ) ব্যবসায়ী। পরিবারের সাথে রাজধানীর শান্তিনগরে থাকতো সে। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।

অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রির বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার স্কুলে পরীক্ষার সময় তার মেয়ে মোবাইল নিয়ে গিয়েছিল। মোবাইলে নকল আছে এমন অভিযোগে ওই স্কুলের শিক্ষক সোমবার তাদের স্কুলে আসতে বলেন। সোমবার পরীক্ষার সময় অরিত্রির সঙ্গে তারা স্কুলে যান। পরে তাদের ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে নিয়ে গেলে তারা মেয়ের নকল করার ব্যাপারে ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল কিছু করার নেই বলে তাদের প্রিন্সিপালের রুমে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। কিন্তু প্রিন্সিপালও তাতে সদয় হননি। এসময় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যও ছিল। পরে তার মেয়ে প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইলেও তাদের বেরিয়ে যেতে বলেন এবং পরের দিন টিসি নিয়ে আসতে বলেন। এ সময় আমি মেয়ের সামনেই কেঁদে ফেলি। অরিত্রি হয়তো আমার ওই কান্না-অপমান মেনে নিতে পারেনি।

এদিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি গড়িয়েছে আদালতেও। গণমাধ্যমে খবরটি দেখে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করতে বলেছে হাই কোর্ট।

পাঁচ সদস্যের কমিটিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের নিচে নয় এমন একজন প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, মনোবিদ ও আইনবিদকে রাখতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা ঠেকাতে একটি জাতীয় নীতিমালা করতেও কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যালয়টির প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ‍দুপুরে তাকে বরখাস্ত করা হয়। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!