• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রিফাতের বন্ধুরা ফাঁস করে দিলেন আসল কথা


জেলা প্রতিনিধি জুন ২৭, ২০১৯, ০২:৫৬ পিএম
রিফাতের বন্ধুরা ফাঁস করে দিলেন আসল কথা

বরগুনা: বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত নামের এক যুবককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়, চন্দন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা নয়ন এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এদিকে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। 

নিহতের স্ত্রীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করতো নয়ন, তার স্বামী প্রতিবাদ করায় হত্যা করা হয় তাকে। তবে রিফাতের বন্ধুরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছে, বিয়ের আগে মাদক ব্যবসায়ী নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো রিফাতের স্ত্রী মিন্নীর।

নিহত রিফাতের পরিবার জানায়, স্ত্রী মিন্নীকে নিয়ে বুধবার (২৬ জুন) সকালে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে নয়ন, রিশান, রিফাত ফরাজীসহ ১০ থেকে ১২ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় রিফাতকে। সদর উপজেলার বড় লবণখোলা গ্রামের শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় স্বামীকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তার স্ত্রী। নৃশংসভাবে কোপানোর ভিডিওটি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

নিহত রিফাতের বন্ধুরা জানান, এলোপাতাড়ি কোপানোর পর রিফাতকে ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে প্রথমে বরগুনা হাসপাতালে ও অবস্থার সংকটাপন্ন হলে তাকে বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।

রিফাতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বখাটে নয়ন তার স্ত্রী আয়েশাকে উত্যক্ত করে আসছিল। রিফাত প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়। তারা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।

রিফাতের স্ত্রী বলেন, তারা সবাই অস্ত্র নিয়ে হামলা করে, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি। কিন্তু আশেপাশের কেউ এগিয়ে আসে না। বিয়ের পরেও নয়ন আমাকে উত্যক্ত করতে থাকে। আমিও স্বামীও তা জানতো।

রিফাতের শ্বশুর বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই আমি। তবে রিফাতের বন্ধুরা জানান, নয়ন মাদক ব্যবসায়ী ও রিফাতের স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগে প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল।

রিফাতের এক বন্ধু জানান, রিফাতের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের আগে একটা গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা মেলামেশা করতে পারত না, তাই একটা থ্রেট দেয়া হয়েছিল।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, যারা ঘটনাটা ঘটিয়েছে তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এ ঘটনায় আজ বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নিহতের সহপাঠীরা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করে। গতকাল রাতে রিফাতের বাবা ১২ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!