ঢাকা : রাজধানীর বাড্ডায় গুজবকে কেন্দ্র করে ‘গণপিটুনিতে’ তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ জুলাই) দিনগত রাতে বাড্ডার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ নিয়ে রেনু হত্যাকাণ্ডে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। নতুন করে গ্রেফতার পাঁচজন হলেন- মুরাদ (২২), সোহেল রানা (৩০), বিল্লাল হোসেন (২৮), আসাদুল ইসলাম (২২) ও রাজু আহমেদ (২৩)।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, গণপিটুনির ভিডিও ফুটেজ দেখে এই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার পাঁচ জনকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
রেণু হত্যা মামলায় এর আগে আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট এ ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হল।
এ ঘটনায় নিহতের ভাগিনা নাসির উদ্দিন অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, রেনু তার মেয়েকে ভর্তি করার জন্য স্কুলে যান। কিন্তু মানসিক অসুস্থতার কারণে তার আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। এজন্য স্কুলের অনেকেই তাকে ছেলেধরা হিসেবে সন্দেহ করছিল। প্রধান শিক্ষক তার সঙ্গে কথা বলার জন্য রুমে নিয়ে যান। কিন্তু স্কুল প্রাঙ্গণে তার অস্বাভাবিকতা দেখে অনেকেই বের করে মারধর করতে চাইছিলেন।
প্রধান শিক্ষক রেনুকে বাইরে বের না করলে, স্কুলের কিছু অভিভাবক ও বাইরে থেকে আসা উৎসুক জনতা রুমের গেট ভেঙে তাকে 'ছেলেধরা' বলে মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা ব্যবহারের উদ্ভট গুজবের রেশ কাটতে না কাটতেই ছেলেধরা গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন আরো অনেকে। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে দেশের কয়েকটি জেলায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত নয়জনে। গণপিটুনির শিকার অধিকাংশই নারী, মানসিক ভারসাম্যহীন এবং মাদকাসক্ত।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :