• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নতুন সিদ্ধান্ত


নিউজ ডেস্ক জুলাই ১৬, ২০২০, ০৯:৩৩ এএম
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নতুন সিদ্ধান্ত

ঢাকা : একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম ঈদুল আজহার পর শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগস্টে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরশীল সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে সরকার গত ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। দীর্ঘ দুই মাস লকডাউনের পর অফিস-কারখানা-যানবাহন চালু করে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ঈদুল আজহার ছুটির পর ৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির জন্য পেছানো

হয়েছে এ বছরে এইচএসসি পরীক্ষা। এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশেও বিলম্ব হয়। গত মে মাসের ৩১ তারিখে এ ফল প্রকাশ হলেও একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানান, একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম শুরুর করার মতো প্রস্তুতি বোর্ডের আছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি কবে থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা  জানান, একাদশ শ্রেণির ভর্তি ঈদের ছুটির পরই শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার সব প্রস্তুতিও আছে। যে কোনো সময় এডমিশন সার্কুলার জারি করা হতে পারে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, আগস্ট মাস করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। গড় হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৩০-এর ওপর। আক্রান্তের হারও সন্তোষজনক নয়। আক্রান্তের হার দুই সংখ্যায় আর মৃতের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় এলে বোঝা যাবে মহামারী নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। এখনো আমরা করোনায় অনিশ্চিত গন্তব্যে আছি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিক্ষা বর্ষে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে পুরো শিক্ষাব্যবস্থায় তা থেকে উত্তরণের বেশ কিছু উপায় নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা প্রশাসন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্তরে সিলেবাস কমানো, শিক্ষা ক্যালেন্ডারের ছুটি কমানো, বার্ষিক পরীক্ষা ডিসেম্বরে নেওয়া অথবা চলতি শিক্ষা বর্ষ আরও বৃদ্ধি করে আগামী বছরের প্রথম দুই-তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কোন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে- এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঈদের পর অন্তত আগস্ট মাসের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও অনলাইন, টেলিভিশনে ক্লাস পরিচালনা করছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এ পদ্ধতি শতভাগ কার্যকর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডিশ সংযোগ সুবিধা, টিভি না থাকা, ইন্টারনেট দুর্বল, অনেক জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা না থাকা, এমনকি অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ডিভাইস/মোবাইল অভিভাবকদের সহজলভ্য না হওয়ায় গ্রাম-শহরের সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছেনি অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতি। করোনাকালে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী এখন ঘরবন্দি।

সোনালীনিউজ/এএস

 

Wordbridge School
Link copied!