• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
নিউজিল্যান্ডের রেডিও-টেলিভিশনে একযোগে জুমার আজান

শোকে স্তব্ধ নিউজিল্যান্ড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ২২, ২০১৯, ০২:৫৮ পিএম
শোকে স্তব্ধ নিউজিল্যান্ড

ঢাকা : ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর আজ সেখানে হাজার হাজার মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নিয়ে সে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুধু মুসল্লিরা নয় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সহমর্মিতা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিল নিউজিল্যান্ডের হাজারো অধিবাসী।

গত শুক্রবার নিহত হওয়া ৫০ জনের স্মরণে ২ মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা। উপস্থিত প্রায় ২০ হাজার মানুষের মধ্যে হাগলি পার্কে বক্তৃতা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডের্ন। আল-নুর মসজিদের সামনে যখন তিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন সেই সমাবেশজুরে ছিল পিনপতন নীরবতা।

রয়টার্স জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ঘটনায় নিহতদের বেশিরভাগই ছিল দেশটিতে শরনার্থী কিংবা অভিবাসী। তাদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক। বক্তব্যের শুরুতেই নিহতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আরডের্ন বলেন, নিউজিল্যান্ডের সকল মানুষ আপনাদের সঙ্গে শোকাহত। আমরা আজ এক।

নামাজের ইমামতি করা ইমাম গামাল ফৌদা সমাবেশে বলেন, আমাদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে কিন্তু আমরা ভেঙ্গে পড়িনি। আমরা এখনো বেঁচে আছি, একসঙ্গে। আমরা কাউকে আমাদের মাঝের এ বন্ধন ভাঙতে দেব না। তার বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মানুষ সকলে হাত তুলে ঐক্য প্রদর্শন করে।

নিউজিল্যান্ডের রেডিও-টেলিভিশনে একযোগে জুমার আজান : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের স্মরণে শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় রেডিও ও টেলিভিশনে জুমার নামাজের আজান সম্প্রচার করা হয়।

এছাড়া সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের অন্য ধর্মের নারীরা মাথায় হিজাব পরেছিলেন।

গত সপ্তাহে সন্ত্রাসী হামলায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য শুক্রবার জুম্মার খুতবায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন সহ হাজার হাজার শোকাবহ মানুষ ক্রাইস্টচার্চে একসাথে সমবেত হয়েছেন। উপস্থিত বেশির ভাগ মানুষ ছিলেন অমুসলিম।

সেখানে গ্র্যান্ড মুফতি আজানের পর সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে এক আবেগঘন বক্তব্য দেন। এটাই হচ্ছে মানবতা, এটাই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম, মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমার বিশ্বাস মুসলমানরাও এভাবে অন্য ধর্মের মানুষের বিপদে এভাবেই পাশে দাঁড়াবেন। জয় হোক মানবতার।

ছোট শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিউজিল্যান্ডবাসী শোকাহত। আমরা সবাই এক।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ২৮ বছর বয়সী ট্যারান্ট ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা চালান। ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫০। আহত হন আরো অন্তত ৪৭ জন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!