• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটসম্যানদের দাপটে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১০, ২০১৬, ১২:১৭ পিএম
ব্যাটসম্যানদের দাপটে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক

জোহানেসবার্গের মতো ডারবানেও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাই হাশিম আমলার নৈপুণ্যে লড়াই করার মতো পুঁজি গড়েও ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে ফাফ দু প্লেসির দল।

এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ম্যাচ ৩ উইকেটে জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয়টিতে ২০৪ রান করেও হার এড়াতে পারেনি। ওই ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতে সমতায় ফিরেছিল অতিথি দল।

কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে বুধবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আমলার ঝড়ো ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬২ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান। জবাবে ১৯.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

উসমান খাওয়াজা ও শেন ওয়াটসনের ব্যাটে দুর্দান্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। মারমুখী ভঙ্গিমায় উদ্ভোধনী জুটিতে ৭৬ রান করেন তারা।

ইমরান তাহিরের করা নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৪২ রান করেন ওয়াটসন। ২৭ বলের ঝড়ো ইনিংসটি ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজান তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান করেন খাওয়াজা।

২ রানের ব্যবধানে দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও তৃতীয় উইকেটে সহজেই তা কাটিয়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচের সেরা ডেভিড ওয়ার্নার এ দিন স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ৮.২ ওভার স্থায়ী জুটিতে ৭৯ রান যোগ করে দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। রান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেন ওয়ার্নার। পরের ওভারে ফিরে যান স্মিথও, ২৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪৪ রান করেন অধিনায়ক। তবে তাতে অতিথিদের জয় আটকায়নি; শেষ দিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে ৪ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার। ১০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।   

এর আগে স্বাগতিকদের ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়েছিল। পেসার নাথান কোল্টার-নাইলের করা প্রথম ওভারে দুটি চার মারেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসটাকে বড় করতে না পারলেও আমলার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৪ ওভারে ৪৭ রান তুলে শক্ত ভিত গড়ে দেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরার আগে ১৩ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করেন ডি কক। এরপর মূলত একাই বোলারদের উপর ছড়ি ঘোড়ান আমলা। ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ডেভিড মিলারও। পাঁচ নম্বরে নেমে এই মারকুটে ব্যাটসম্যান ১৬ বলে ৩০ রান করতে ২টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান। অস্ট্রেলিয়ার পেসার কোল্টার-নাইল ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। প্রথম ম্যাচ হেরেও শেষ দুই ম্যাচে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া, তাতে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকেই মাঠে নামবে স্টিভেন স্মিথের দল।    


সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!