• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণও যখন একটি রোগ!


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৫, ২০১৬, ১০:৩৫ এএম
স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণও যখন একটি রোগ!

সোনালীনিউজ ডেস্ক

খাবার নিয়ে বাছ-বিচার অনেকেরই স্বভাব। কোন খাবারটি স্বাস্থ্যকর, আর কোনটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না তাদের। আপনিও কি বিষয়টি নিয়ে প্রতি বেলাতেই ভেবে ভেবে অনেক সময় ব্যায় করেন! তাহলে সেটাকে কী বলে জানেন কি?

স্বাস্থ্যকর খাবার-দাবারের প্রতি এই অস্বাভাবিক ‘অবসেশন’ বা তীব্র আকর্ষণের পোশাকি নাম – ‘অর্থোরেক্সিয়া’। এটা একরকম মনের অসুখ। এই রোগ হলে সব সময়ই আপনার মনে হবে ‘এই বুঝি অস্বাস্থ্যকর কিছু খেয়ে ফেললাম’, ‘এই বুঝি একটু বেশি খেয়ে ফেললাম’। অথবা ‘এই বুঝি শরীরের জন্য খারাপ এমন কিছু আমার পেটে চলে গেল’, ‘এমন কিছু, যা আমার শরীরের জন্য একেবারে নতুন’।
 
কথায় বলে, টাকা বাড়লে নাকি টাক বাড়ে। হ্যাঁ, অর্থের সাথে রোগের একটা সম্পর্কের কথা বলে থাকেন অনেকেই। এর মধ্যে হয়ত কিছুটা কল্পনা আছে, তবে আছে কিছু বাস্তবতাও। অর্থোরেক্সিয়ার ক্ষেত্রেও নাকি  এটাই হয়।

কারণ এই রোগে আক্রান্তরা সাধারণত উচ্চবিত্ত। অর্থাৎ অরগ্যানিক বা একেবারে নির্ভেজাল খাবার কেনার সামর্থ তাদের আছে। এরা সস্তা, প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারে ছুঁয়েও দেখেন না। এমনকি একটু বেশি তাপমাত্রায় রান্না করা খাবার দেখলেও তারা নাক সিটকান। শুধু তাই নয়, তারা খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করেন না, ব্যাবহার করেন না প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়ামের থালা-বাসনও।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাওয়া নিয়ে এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে তার অবিলম্বে চিকিৎসা করানো দরকার। তাদের কথায়, অশোধিত খাবার থেকে দূরে থাকা বা অরগ্যানিক খাবার খাওয়া খারাপ তো নয়-ই, বরং সত্যিই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এটা পাগলামির পর্যায়ে চলে গেলেই বিপদ, কারণ, এমনটা চলতে থাকলে এই অতিরিক্ত খাদ্যসচেতন মানুষগুলো বেছে বেছে খেতে খেতে একটা সময় কম খেতে শুরু করেন। ফলে তাদের ওজন কমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!