• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১১ বার চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল


স্পোর্টস ডেস্ক মে ২৯, ২০১৬, ১০:১১ এএম
১১ বার চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন হলো রিয়াল

পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলেছেন হুয়ানফ্রান। কিন্তু টাইব্রেকারে অ্যাটলেটিকোর চতুর্থ শটটি তিনি মেরে দিলেন সাইড পোস্টে। এই একটি শটেই নির্ধারিত হয়ে গেল জয়-পরাজয়। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দায়িত্ব ছিল রিয়ালের পঞ্চম শটটিকে যেকোনো মূল্যে কেবল পোস্টে ঢোকানো। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার ‘যেকোনো মূল্যে’ নয়, দারুণভাবেই পরাভূত করলেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাককে। সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হলো রিয়াল মাদ্রিদের আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ-শিরোপা। টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে নিশ্চিত হলো রিয়ালের ইউরোপ-সেরার একাদশতম খেতাব।

অবশেষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা নিজেদের ঘরেই তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে ট্রাইবেকারে হারিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। ট্রাইবেকারে রিয়াল ৫-৩ গোলে জয় পেয়েছে অ্যাতলেটিকোর বিপক্ষে। ফলে তারা ১১ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা অর্জন করলো।

শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১টায় মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হয়।

ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়। তবে ওই সময়েও কোনো দলই গোলের দেখা না পাওয়াতে শেষ অবধি ম্যাচটিতে ট্রাইবেকারের সাহায্যে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। যেখানে রিয়াল বেশ ভালোভাবেই উতরে গিয়েছে। ফলে তারা নিজেদের ঘরে চ্যাম্পিয়নস লিগের ১১তম শিরোপা তুলেছে। অন্যদিকে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেও ব্যর্থই হয়েছে দিয়েগো সিমেওনের দল অ্যাতলেটিকো। প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েও শেষ অব্দি হারই জুটেছে তাদের কপালে।

ম্যাচের ১৫ মিনিটেই রিয়াল গোলের সূচনা করে। টনি ক্রুসের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে গ্যারেথ বেলের হেডে গোলপোস্টের সামনে বল পেয়ে অ্যাতলেটিকোর জালে জড়িয়ে দেন রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোস। দুর্দান্ত এ গোলেই লিড নেয় রিয়াল।

অ্যাতলেটিকো গোল খেয়ে বেশ আক্রমণাত্বক রূপ ধারণ করে। একের পর এক আক্রমণ করে চললেও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। প্রথমার্ধে তারা কোনো গোলের দেখাই পায়নি। ফলে রিয়াল ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৭তম মিনিটে তরেসকে ডি বক্সের ভেতর পেপে ফার্নান্দো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় অ্যাতলেটিকো। তবে সেই সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট করেন পেনাল্টি নিতে আসা গ্রিজম্যান। তার জোড়ালো শটটি গোলবারের ওপর লেগে ফিরে আসে। ফলে তারা ম্যাচে সমতায় ফিরে আসার সুযোগ হারায়।

তবে ৭৯ মিনিটে আর হতাশ হতে হয়নি অ্যাতলেটিকোকে। হুয়ানফ্রানের ক্রস থেকে বল পেয়ে খুব কাছ থেকে সহজেই বল জালে জড়ান বিরতির পর বদলি হিসেবে নামা ইয়ানিক কারাসকো। ফলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর আর কোনো দলই গোল না পেলে ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর এ অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও দু’দলই গোল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে ম্যাচটি ট্রাইবেকারে গড়ায়।

ট্রাইবেকারে দু’দলই প্রথম তিনটি করে গোল পায়। রিয়ালের প্রথম গোলটি করেন ভাসকেস। ডান কোণা দিয়ে বলটি জালে পাঠান তিনি। অ্যাতলেটিকোর গ্রিজম্যানও এবার সুযোগ নষ্ট করেননি। তিনি বাঁ দিক দিয়ে বল জালে পাঠান। রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মার্সেলো এবং অ্যাতলেটিকোর অধিনায়ক গাবির শটে স্কোর ২-২ হয়। তৃতীয় শটেও নির্ভুল লক্ষভেদ করেন রিয়ালের গ্যারেথ বেল ও অ্যাতলেটিকোর সাউল নিগেস।

রিয়ালের হয়ে চতুর্থ গোলটি ঠান্ডা মাথাতেই সম্পন্ন করেন রামোস। তবে এখানে এসেই গন্ডগোল বাঁধিয়ে ফেলেন পুরো ম্যাচ দুর্দান্ত খেলে আসা অ্যাতলেটিকোর হুয়ানফ্রান। তার করা শটটি বারে লেগে ফিরে আসে। আর পঞ্চম গোলটি রিয়ালের অন্যতম তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বেশ ভালোভাবেই লক্ষ্যভেদ করেন। পুরো ম্যাচ জুড়ে তিনি বাজে খেললেও এ সময় আর নিরাশ করেননি দলকে। ফলে তারা ট্রাইবেকারে ৫-৩ গোলের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

রিয়ালের কোচ জিদানের জন্যও এটা অনেক বড় প্রাপ্তি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এ মৌসুমে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে আর কোনো শিরোপা না জেতায় এটাই তার দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় কোনো শিরোপা অর্জন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!