• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অখ্যাত আরিফুলই জেতালেন খুলনা টাইটান্সকে


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ২১, ২০১৭, ০৫:২৬ পিএম
অখ্যাত আরিফুলই জেতালেন খুলনা টাইটান্সকে

ঢাকা: আরিফুল হক। অনেকের কাছে নামটা অপরিচিত। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনও অভিষেক হয়নি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে আরিফুল পরিচিত মুখ। কিন্তু প্রথম শ্রেণী ও লিস্ট এ খেলোয়াড় হিসেবে তার সম্পর্কে জানার সুযোগ খুব কমই। কিন্তু আজ অন্তত সবাই ২৫ বছরের এই ক্রিকেটারকে চিনেছেন। তার ব্যাটিং কারিশমায় রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে খুলনা টাইটান্স।

জয়ের জন্য ১৬৭ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। ১৩ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কাটা পরবর্তীতে সামলে উঠেন দক্ষিণ রিলি রোসৌ ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলকে ভালো অবস্থায় নেয়ার চেষ্টায় সফলই হন তারা। তৃতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন রোসৌ ও রিয়াদ।

জুটিতে সবেচেয়ে বেশি রান ছিলো রিয়াদের। রোসৌর অবদান ছিলো ২০ রান। হাফ-সেঞ্চুরির পর রিয়াদ নিজের ইনিংসটা বড় করতে পারেননি। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১০৭ রানে বিদায় নেন রিয়াদ। হোসেন আলীর শিকারে পরিনত হওয়ার আগে ৪৪ বল মোকাবেলায় ৮টি চার এবং একটি ছক্কায় ৫৬ রান করেন তিনি। অধিনায়ক আউট হওয়ার পর আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের নিশ্চিতই করে ফেলেছিলো খুলনা। কারন শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন পড়ে ৩৬ রান। হাতে ছিলো ৩ উইকেট। এই অবস্থায় হয়তো খুলনা নিজেও স্বপ্ন দেখেনি ম্যাচ জয়ের।

কিন্তু জয়ের আত্মবিশ্বাস মনের মধ্যে পুষেছিলেন রংপুরের ছেলে আরিফুল। তাই ১৮তম ওভারে রাজশাহীর হোসেন আলীর ওভার থেকে ১৮ রান তুলে নেন তিনি। পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামির পরের ওভার থেকে ৯ রান নিয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার টার্গেট দাঁড় করান ৯ রান।

শেষ ওভারে স্মিথের প্রথম বলে ছক্কা ও দ্বিতীয়টিতে বাউন্ডারি তুলে নিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই খুলনাকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন ২৫ বছর বয়সী আরিফুল। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৯ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন আরিফুল। রাজশাহীর সামি ৩ উইকেট নেন।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) মিরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৩তম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পয়েন্ট টেবিলের ৬ষ্ঠ্য স্থানে থাকা রাজশাহীর শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের তোপে পড়ে দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন ওপেনার মুমিনুল হক ৫ ও ডিজে বেল ড্রমমন্ড। পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন জাকির হোসেন।

মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারানো রাজশাহীর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ ও মুশফিকুর রহীম। ৭৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন তারা। খুলনার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে মাত্র ২৯ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ডোয়াইন স্মিথ। দলীয় ৯৭ রানে আফিফ হোসেনের বলে বিদায় নেয়ার আগে ৬২ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবীয়ান। তার মধ্যে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কার মার রয়েছে।

এরপর জেমস ফ্রাঙ্কলিনকে সঙ্গে নিয়ে আরও একটি জুটি গড়েন মুশফিক। দলীয় ১৪১ রানে আবু জায়েদের বলে আরিফুল হকের তালুবন্দি হন মুশফিক। তার আগে মাত্র ৩৩ বলে ৪টি চার আর ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত জেমস ফ্রাঙ্কলিনের অপরাজিত ২৯ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে সমর্থ হয় রাজশাহী কিংস।

খুলনা টাইটান্সের হয়ে পাকিস্তানি জুনায়েদ খান ২৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নিয়েছেন। আবু জায়েদ ২টি এবং কার্লোস ব্রাথওয়েট ও সেক্কুজে প্রসন্ন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!