• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণ রহস্য উদঘাটনে মাঠে গোয়েন্দারা


বিশেষ প্রতিনিধি জুলাই ৫, ২০১৭, ১০:১৮ পিএম
অপহরণ রহস্য উদঘাটনে মাঠে গোয়েন্দারা

ঢাকা: কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার অপহরণের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দারা। অপহরণের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা অপহরণ মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে।

ইতিমধ্যে মামলার নথিপত্র আদাবর থানা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে অসুস্থ্যতার কারণে ফরহাদ মজহার মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। তার উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস এবং হৃদরোগ রয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) তার ছোট বোন সীমা দাস শিমু জানিয়েছেন ‘সুস্থ’ হলেই তার ভাই সংবাদ সম্মেলন করে তার বক্তব্য জানাবেন।

অপরদিকে ফরহাদ মজহার বারডেমের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান এ কে এম মুসার তত্বাবধানে বারডেম হাসপাতালে ১১০৬ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফরহাদ মজহারের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ড. এ কে এম মুসা জানিয়েছেন, তিনি শারীরিকভাবে এখন অনেক ভালো আছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার বোন শিমু বলেন, ফরহাদ মজহার সুস্থ ও স্থিতিশীল হওয়ার আগ পর্যন্ত ডাক্তাররা তাকে নিবিড় পরিচর্যায় থাকতে বলেছেন এবং কথা বলতে নিষেধ করেছেন। এখন তিনি কথা বলতে পারবেন না।

তিনি এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছেন। সুস্থ্য হলে ফরহাদ মজহার সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। কবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে জানতে চাইলে সীমা দাস শিমু বলেন, সেটা জানিয়ে দেয়া হবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার (৩ জুলাই) সকালে ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অনুসন্ধান শুরু করে এবং রাতে যশোরে একটি বাস থেকে ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা হয়।

পরে সোমবার (৩ জুলাই) রাতেই অভিযোগটি (জিডি) মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নং- ০৪। ফরিদা আখতারের মামলায় বলা হয়, আমার স্বামী সাধারণত খুব ভোরে ঘুম থেকে জাগেন এবং লেখালেখি করেন।

সকাল ৫টার দিকে আমার ঘুম ভাঙার পর আমি উনাকে লেখার টেবিলে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি এবং সারা ঘরে খুঁজতে থাকি। ইতোমধ্যে সকাল ৫ টা ২৯ মিনিটে আমার স্বামী তার ফোন থেকে আমাকে কল দেন। তিনি ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, মেরে ফেলবে’। এরপর ফোনটি কেটে যায়।

পরে পুলিশের উপস্থিতিতেই সারা দিনে ফরহাদ মজহারের ফোন থেকে আরও চার বার কল পান ফরিদা। সেসব ফোনালাপে ফরহাদ মজহার জানান, অপহরণকারীরা ৩৫ লাখ টাকা চেয়েছে; ওই টাকা পেলে তারা তাকে ছেড়ে দেবে।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে ডিএমপিড কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর আদাবর থানা থেকে মামলার নথিপত্র বুধবার (৫ জুলাই) গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে পাঠানো হয়।

এ মামলটির তদারকি কর্মকতা হিসেবে ডিএমপির উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে তিনি বিদেশে থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছে এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, মামলাটি তদন্ত করছেন ডিবির পরির্দশক মাহবুবুল হক। এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল আরো বলেন, অপহরণকারীদের ব্যাপারে তথ্য নিতে গতকাল ফরহাদ মজহারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে পুলিশ তার বাসার দারোয়ান, বাসার পাশ্ববর্তী দোকানী এবং সড়কের প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলেছে। পুলিশ নানা ভাবে এ  অপহরনের ব্যাপারে তথ্য জানার চেষ্টা করছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!