• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী


ক্রীড়া প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ০৭:৪৮ পিএম
অবশেষে সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

ঢাকা: প্রথমার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষ। নেপালের মানাং মার্সিয়াংদি ক্লাব-২ এবং স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড-১। শেষ পর্যন্ত কী হয় এই ভেবে স্বাগতিক সমর্থকদের মাঝে চরম উৎকন্ঠা বিরাজমান। তবে ভরসা দ্বিতীয়ার্ধের ৪৫ মিনিট। অন্তত ড্র করতেই হবে। না হলে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ’ ফুটবলের দ্বিতীয় আসর থেকে বিদায় নিতে হবে চ্যাম্পিয়নদের। অবশেষে এল সেই ক্ষণ। ৬২ মিনিটে সৌভাগ্যের পেনাল্টি থেকে বন্দর নগরীর দলটিকে সমতায় ফেরালেন হাইতিযান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন। গ্যালারীতে বইয়ে গেল আনন্দের ঢেউ। সেমিফাইনালে উঠে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘বি’ গ্রুপের প্রথম খেলায় নেপালের মানাং মার্সিয়াংদির সাথে ২-২ গোলে ড্র করে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ চারে জায়গা করে নিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী।

এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই স্বাগতিক দলকে পিছিয়ে দেন মানাং মার্র্সিয়াংদির ওলাদিপো। এ সময় অধিনায়ক অনিল গুরুংয়ের উড়িয়ে দেয়া বল হেড করে ফাঁকা জালে ফেলতে ভুল করেননি ওলাডিপো। এরপর ২২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে আবাহনীর বক্সে ঢুকে পড়ে বা পায়ের শটে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আবারও সেই ওলাদিপো (২-০)।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও হতাশ না হয়ে নিজেদের থানকিটা গুছিয়ে গতি আর ক্ষিপ্রতা দিয়ে খেলায় ফিরে আসে স্বাগতিক দল। ৩২ মিনিটে তাদের প্রথম প্রচেষ্টা সফল হয়। দলীয় অধিনায়ক-এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের কর্নার বক্সে হেড করতে চেষ্টা করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর একজন ফুটবলার। কিন্তু বল বিপদমুক্ত করেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা। ফিরতি বলে বক্সের মধ্যে উঁচু ক্রস ফেলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়া। সেই বলে লাফিয়ে উঠে দর্শণীয় হেডে মানাংয়ের  জালে বল পাঠান ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন নাসির (১-২)।

সমতায় ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মার্সিয়াংদির ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে আবাহনী। ৬৩ মিনিটে স্বস্তির সমতায় ফেরে তারা। একটি হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি আদায় করে নেয় তারা। আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে শট নিলে বল লাগে মানাং মার্সিয়াংদির বিরাজ মহারজনের হাতে। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। আর তা থেকে গোল করতে কোন ভুল হয়নি অগাস্টিনের (২-২)। ৬৮ মিনিটে মুফতাল আউয়ালের শট মানাংয়ের ক্রসবারে লেগে ফেরত না আসলে এগিয়ে যেতে পারতো আবাহনী। খেলা শেষ হবার মিনিটখানেক আগে নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে ভাগ্যগুণে বেঁচে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। অনিল গুরংয়ের হেড আবাহনীর ক্রসবারে লেগে ফেরত এলে আক্ষেপের অনলে পোড়ে মানাং। আর আনন্দে মাঠ ত্যাগ করে চট্টগ্রাম আবাহনী।

৩ খেলায় আবাহনীর সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ৩-১ গোলে আফগানিস্তানের শাহিন আসমায়িকে হারায় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে মানাংয়ের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা ঢাকা মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারায় এবং দ্বিতীয় ম্যাচে আসমায়ির কাছে ১-৩ গোলে হেরে যায়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!