• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরও একটি ক্রীড়া ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক নভেম্বর ৯, ২০১৭, ০৫:২৪ পিএম
আরও একটি ক্রীড়া ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ

ঢাকা: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট ৪৬টি ক্রীড়া ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশন রয়েছে। সম্প্রতি আরও কয়েকটি নতুন ক্রীড়া ফেডারেশনকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে অনেক খেলাই আছে যার নাম পর্যন্ত জানেন না দেশের মানুষ। আবার কেনোটি হয়ত ঐতিহ্য হারিয়েছে। এবার আরও একটি ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ করল। নাম ‘বাংলাদেশে চুকবল অ্যাসোসিয়েশন’।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পল্টনস্থ এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের নতুন এই ক্রীড়া ফেডারেশনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এসময় আন্তর্জাতিক চুকবল ফেডারেশনের সভাপতি মি. চিন চেং ক্রিস ওয়াং উপস্থিত ছিলেন। গত ১৪ ও ১৫ আগষ্ট তাইওয়ানের কউসিং সিটিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চুকবল ফেডারেশনের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুকবল খেলাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ক্রিস ওয়াং।

বাংলাদেশ চুকবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ দুলাল বলেন, এই খেলাটির প্রধানতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শুধুমাত্র খেলার সাবজেষ্টকে অর্থাৎ বলকে কেন্দ্র করে অফেন্স বা ডিফেন্স হয়ে থাকে। এবং এই কারনে এটাই পুথিবীর একমাত্র খেলা যাতে টিম গেম এর সব উপাদান থাকা সত্বেও এটি ইনজুরী বিহীন খেলা। বর্তমানে ক্রীড়া বিজ্ঞানীরা এই খেলাটিকে ‘সোল অব এভরী গেম’ হিসেবে অবিহিত করছেন।

তিনি বলেন, খেলাটি আমাদের দেশে নতুন হলেও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে খেলাটি বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক সুনাম বয়ে এনেছে। এশিয়া প্যাসিফিক  ইউনিভার্সিটি চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ ২০১৩ এ বাংলাদেশ দল ৫ম স্থান অধিকার করে। এশিয়া প্যাসিফিক চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ ২০১৪ এ বাংলাদেশ দল ৮ম স্থান অর্জন করে। দক্ষিণ এশিয়া চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ ২০১৪ এবং ২০১৬ এ বাংলাদেশ দল দুই বার রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ওয়াহিদ দুলাল জানান, বাংলাদেশে চুকবল খেলা অত্যন্ত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। দেশের প্রায় ১৯টি জেলাতে নিয়মিতভাবে চুকবল খেলার চর্চা হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম প্রচলিত এবং নবীনতম সদস্য হওয়া সত্বেও চুকবলে দক্ষিন এশিয়া অঞলে বাংলাদেশের আধিপত্য রয়েছে। এই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দল সম্মানজনক স্থান অর্জন করেছে। শারীরিক সক্ষমতা, ফলাফল ও অন্যান্য বিবেচনায় চুকবলে বাংলাদেশের অত্যন্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় চুকবল এর প্রসারে ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ চুকবল অ্যাসোসিয়েশনের (প্রস্তাবিত) সাধারণ সম্পাদক জনাব আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল আন্তর্জাতিক চুকবল ফেডারেশনের পাইওনিয়ার অর্গানাইজার অ্যাওয়ার্ড ২০১৫ অর্জন করেন। সাফল্যর স্বীকৃতি স্বরুপ বাংলাদেশ চুকবল এসোসিয়েশন গত ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চুকবল ফেডারেশনের সাধারণ সভায় সংস্থাটির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্রীড়া বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক হার্নান ব্যান্ডিট শারীরিক  পরিশ্রম, গতি, ক্ষীপ্রতা ও চৌকস বুদ্ধিমত্তা সহ সব উপাদানের সমন্নয়ে কিন্তু শারীরিক সংঘর্ষ ব্যাতিত একটি খেলা উদ্ভাবন করেন। উক্ত খেলায় বলটিকে একটি চারকোনা আকৃতি নেটে আঘাত করতে হয় এবং এর থেকে পয়েন্ট অর্জন করা যায়। নেটে বলের আঘাতের ফলে যে শব্দটি সৃষ্টি হয় তা থেকে উনি খেলাটির নামকরণ করেন চুকবল।

বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৮৩টি দেশে খেলাটির চর্চা হচ্ছে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকাতে খেলাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এশিয়া প্যাসিফিক চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ, ইউরোপিয়ান চুকবল কাপ, প্যান আমেরিকান কনফেডারেশন চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ, আফ্রিকান চুকবল চ্যাম্পিয়ানশীপ সহ বিশ্বজুড়ে এই খেলাটির বিভিন্ন প্রতিযোগিতা সমূহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চুকবল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউসুফ, কল্লোল দাশ, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মো. বেলাল, নির্বাহী সদস্য আব্দুল হান্নান আকবর, মশিউর রহমান চৌধুরী, এইচ এম সোহেল। বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান স্বপন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!