• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক দশকে হাজির সংখ্যা এবার সর্বনিম্ন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬, ১০:১৫ পিএম
এক দশকে হাজির সংখ্যা এবার সর্বনিম্ন

ইসলাম ধর্মের অন্যতম পাঁচ স্তম্ভের একটি হচ্ছে হজ। আর্থিকভাবে সমর্থ প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য হজ পালন তাই অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। মহান আল্লাহ তায়ালার এই নির্দেশ পালনের জন্য প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছুটে যান সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে।

আরাফাতের বিশাল প্রাঙ্গণে লাখো কণ্ঠের লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। কায়মনে আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে স্বীয় ভুলভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন মুসল্লিগণ। প্রতিবছরের মতো এবারও সম্পন্ন হয়ে গেল পবিত্র হজ। তবে গত এক দশকের তুলনায় এ বছর হজ পালন করেছেন সবচেয়ে কম সংখ্যক মুসলমান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৭ সালে হজ করেছেন ২৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে ১৭ লাখ সাত হাজার ৩১৪ জন বিদেশি এবং সাত লাখ ৪৬ হাজার ৫১১ জন সৌদি নাগরিক।

চলতি বছর হাজির সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৯০৯ জনে। তার মধ্যে ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৭২ জন বিদেশি এবং পাঁচ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩৭ জন সৌদি আরবের নাগরিক।

ওই সময়ের তুলনায় বর্তমানে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে পাঁচ লাখ ৯১ হাজার ৪১৬ জন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে ২০১২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক তিন লাখের বেশি হাজি হজ পালন করেন।

সৌদি আরবের দি জেনারেল অথরিটি অব স্ট্যাটিসটিকস (জিএএসএ)-এর বরাত দিয়ে শুক্রবার ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট তথ্য প্রকাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি গত ৪৭ বছর যাবৎ হজ পালনকারীদের পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করছে। সৌদি আরবের জেনারেল ডাইরেকটরেট অব পাসপোর্টের মাধ্যমে তারা বিদেশি হজযাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

চলতি বছর যারা হজ করেছেন তাঁদের মধ্যে শতকরা ৫৪ দশমিক ৬ ভাগ পুরুষ ও ৪৪ দশমিক ৪ ভাগ নারী। তাঁদের মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ আকাশপথে, ৫ ভাগ সীমান্তপথে ও শতকরা এক ভাগ সমুদ্রপথের যাত্রী।

সৌদি আরবে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে মিসরীয় হাজির সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ শতকরা ৩৯ দশমিক ২ ভাগ। মিসরের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ হাজির সংখ্যা পাকিস্তান ও ভারতের। শতকরা হিসেবে যা মোট সংখ্যার ১৬ দশমিক ৩ ও ৯ দশমিক ৪ ভাগ।

জিএএসএ বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের সঠিক তথ্য স্বল্প সময়ে সংগ্রহের জন্য পোর্টেবল ডিভাইস ব্যবহার করে থাকে। ওই ডিভাইসের মাধ্যমে তারা জাতীয়তা, আগমন কেন্দ্র ও আগমনের সময় সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। তারা মক্কায় প্রবেশ পথে ছয়টি তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে। এ ছাড়া জেদ্দা, তাইয়েফ ও মদিনায়ও তারা বিভিন্ন কেন্দ্র স্থাপন করে।

উল্লেখ্য, গত বছর মিনায় ক্রেন দুর্ঘটনায় সাড়ে ৭০০ মানুষের প্রাণহানির পর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সৌদি আরবের সমালোচনা করে ইরান। এর জের হিসেবে এবার হজপালন থেকে বিরত থাকে দেশটি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!