বাবা তুমি কান্না করছো কেন? আমি এই পাড়ে এসে তোমার কান্না দেখছি ঠিক, কিন্তু তোমার চোখের জল মুছে দিতে পারছিনা, বাবা তুমি চলে যাও।
আমার শেষ নিশ্বাস হুম বাবা এখানেই ছিল গতকাল। আর তুমি এখানে বসেই কান্না করছো? ও বাবা তুমি চলে যাও, এই অভিশপ্ত স্থান থেকে।
বাবা ও বাবা। বাবা আমার এই চাওয়াটা পুরোন করোনা প্লিজ!
তুমি বাসায় গিয়ে আমার রুমের ওয়ালের ছবিটি নামিয়ে ওই ছবির মেয়েটির কপালে একটা পাপ্পি দিতে পারবে বাবা?
বাবা ভেজা চোখে আদর দিওনা প্লিজ কারণ তোমার চোখের জলের ফোঁটা আমার ফ্রেমেই পড়বে।
আমি যে তোমার সেই আদরগুলো অনেক মিস করবো, বাবা তুমি জানতে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে ভয়ে আমি তোমার রুমে চলে আসতাম, কারণ অন্ধকার আমার যে অনেক ভয় ছিল। তবে বাবা আজকে আমি আমার এই অন্ধকার ভয় পাচ্ছিনা, আমার ভয় লাগছেনা, বাবা তুমি চলে যাও।
তোমার দিয়া মামুনি দূর থেকেই তোমার ভালোবাসা নিবে।
দুপুরে মেয়েকে যেখানটায় বাস পিষে দিয়ে গেছে, সেখানটায় বসে মেয়ের দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ছাতার অংশ বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। গত রবিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় বাস পিষে মেরেছে যে দুই শিক্ষার্থীকে, তাদের একজন দিয়া খানম ওরফে মীমের বাবা জাহাঙ্গীর।
উল্লেখ্য- গত রোববার বিমানবন্দর সড়কের বাম পাশে বাসের অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া আক্তার মিম ও আব্দুল করিমের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। দুর্ঘটনার পর রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। রোববারও বিমানবন্দর সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :