• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলি-আনুশকাকে দেখে ‘পতৌদির প্রেম’ মনে পড়ছে শর্মিলার!


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১০, ২০১৭, ০১:৪৩ পিএম
কোহলি-আনুশকাকে দেখে ‘পতৌদির প্রেম’ মনে পড়ছে শর্মিলার!

ঢাকা: ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর বলিউড নায়িকা আনুশকা শর্মা দীর্ঘ প্রেম শেষে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ে তাদের দেশ ভারতে হচ্ছে না। পাপারাজ্জিদের উৎপাত থেকে বাঁচতে কোহলি-আনুশকা বিয়ের অনুষ্ঠান সারতে মিলানে চলে গিয়েছেন। দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্ক অবশেষে বিয়েতে গড়াচ্ছে।

ভারতে শুধু কোহলি-আনুশকাই নয় গত বছর যুবরাজ সিং ভালোবেসে বিয়ে করেছেন মডেল অভিনেত্রী হ্যাজেল কিচকে। হরভজন সিং বিয়ে করেছেন আরেক নায়িকা গীতা বসরাকে। কিছুদিন আগে জহির খান ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ খ্যাত নায়িকা সাগরিকা ঘাটগেকে বিয়ে করে এখন হানিমুনে আছেন।

গত ক’দিন হলো কোহলি-আনুশকার বিয়ে নিয়ে যা হচ্ছে, তাতে ফিসফিস না করে পারা যাচ্ছে না। কোহলি-আনুশকা প্রেমে করে বেড়ালেন সবাইকে দেখিয়ে দেখিয়ে আবার বিয়ের সময় এত গোপনীয়তা কিসের? এই প্রশ্নটা স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ভক্তকূলের মাঝে উঠেছে।

নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরের স্বামী অধিনায়ক মনসুর আলী খান

কোহলি-আনুশকার এসব দেখে ভারতের সাবেক অধিনায়ক স্বামী মনসুর আলী খান পতৌদির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে এক সময় বলিউড কাঁপানো নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরের। তখনকার ভারত অধিনায়কের সঙ্গে কিভাবে প্রেম করেছিলেন সেই গল্প বলতে গিয়ে শর্মিলা বললেন,‘ পতৌদি আর আমি যখন ডেটিং করেছি তখন বান্ধবী-স্ত্রীদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। ওর খেলা দেখার জন্য এরপরও আমি ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরে সে সুযোগ পাইনি। দু-একবার এমন সবাই প্রচার করল যেন পতৌদির খারাপ পারফরম্যান্স হওয়ার জন্য আমিই দায়ী। যেহেতু আমি রঙিন দুনিয়ার তাই মনে করা হতো মনোসংযোগ আমিই নষ্ট করছি। কিন্তু এই যুক্তিগুলোর কোনো মানেই হয় না। প্রিয়জনের খেলা দেখতে যে কারো ইচ্ছা হতেই পারে।

এর সঙ্গে মনোসংযোগ নষ্টের কী আছে। বিরাট আর আনুশকাকে দেখে আমার একটা কথাই মনে হয়, আমাদের সময় স্যোশাল মিডিয়া ছিল না। লোকে এতদূর গিয়ে শত্রুতা বা কুৎসা রটনার কথা ভাবত না। সত্যি কোহলি-আনুশকার চেয়ে আমরা কম সমস্যায় পড়েছি। এখন তো লোকে ক্ষোভে ক্রিকেটারদের বাড়িতে পাথর ছোঁড়ে। যা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।’

বিরাট-আনুশকা

পতৌদির এক চোখ নষ্ট ছিল। তারপরও দাপুটে ব্যাট করতেন বলে তাঁর নামই হয়ে গিয়েছিল টাইগার পতৌদি। শুধু তাই নয়, ভারতকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পতৌদি যখন বিদেশ সফরে থাকতেন তখন কিভাবে যোগাযোগ রক্ষা করতেন, সেই গল্পও বলেছেন শর্মিলা,‘ সেই সময় যোগাযোগ করা ছিল খুবই কঠিন ব্যাপার। ল্যান্ডলাইনে আগাম কল বুক করে রাখতে হতো। শেষমেষ হয়তো লাইন পাওয়া গেল রাত ১টা বা তারও পর। সে সময় হোটেলরুমেও সবসময় ফোন থাকত না। তাই বাধ্য হয়ে রিসেপশনে গিয়ে টেলিফোন অপারেটরের সঙ্গে কথা বলতাম। এমনও হয়েছে ওর চেয়ে  বেশি আমি কথা বলেছি টেলিফোন অপারেটরের সঙ্গে।’

প্রসঙ্গত, শর্মিলা ঠাকুর বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোহা আলী খানের মা এবং কারিনা কাপুরের শাশুড়ি।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!