• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার আছে ও থাকবে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৭:৩৫ পিএম
ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার আছে ও থাকবে

ফাইল ফটো

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার আছে ও থাকবে।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিমান দুর্ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী তার সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন। এরপর থেকেই তিনি ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছেন।

দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন ও পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা পুরো জাতিকে মর্মাহত করেছে। আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। কোনো সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা জানা নেই। মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আসলে অর্থের মাধ্যমে হয় না। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাদের যথোপযুক্ত সাহায্য করবেন।

কাদের বলেন, যাদের মরদেহ এখনো শনাক্ত হয়নি ডিএনএ পরীক্ষাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের লাশ দেশে ফেরত আনা হবে।

এরআগে সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে লাশগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টার্মিনালে অবতরণ করে লাশবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি। লাশ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

পরে ২৩ জনের লাশের কফিন ১৯টি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আর্মি স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে বিকেল ৫টায় পৌঁছায়।

লাশ আর্মি স্টেডিয়ামে নেয়ার পর বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানান। এরপর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

যাদের লাশ হস্তান্তর হয়েছে- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।

এখনো তিন বাংলাদেশির লাশ শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের লাশ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। তাদের লাশ শনাক্তের পর দেশে আনা হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!