• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ!


বাগেরহাট প্রতিনিধি নভেম্বর ২৫, ২০১৭, ১২:১১ পিএম
গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ!

বাগেরহাট: গ্রাহকের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ‌‘দি ঢাকা আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বাগেরহাটের পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের এ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকেলেও কর্তৃপক্ষ এসব গ্রাহকদের জমা রাখা টাকা তারা ফেরত দিচ্ছে না। দায়িত্বরত ব্যবস্থাপক ওই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন বলে দাবি করছে গ্রাহকরা।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ৩০ থেকে ৩৫ জন গ্রাহক জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। জেলায়  পাঁচ বছর ধরে কার্যক্রম চললেও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থার কাছে প্রতিষ্ঠানটির কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন চৌধুরীর বাড়ি পিরোজপুর জেলার শিকারপুর গ্রামে। ১৯৬৯ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি সমবায় থেকে নিবন্ধন পায় (নিবন্ধন নং ৭১০)। দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিষ্ঠানটির ৩৪টি শাখা রয়েছে বলে তাদের একটি প্রকাশনা থেকে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা শহরের পত্রিকা ব্যবসায়ী ও ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক মোকাদ্দেস আলী। তিনি বলেন, তারা ফিক্সড ডিপোজিটে এক লাখ টাকায় মাসে দুই হাজার টাকা করে লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয় বিভিন্ন পেশার কয়েকশ গ্রাহক।

সরকারের অনুমোদন নেই বুঝতে পেরে গ্রাহকরা টাকা ফেরত চাইলে ওই প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন ব্যবস্থাপক নিহার রঞ্জন হালদার এলাকা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। বাসুদেব দে নামে এক গ্রাহক নিহার রঞ্জন হালদারকে ভারত থেকে ধরে এনে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও তারা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, গ্রাহকরা তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন- আগের ব্যবস্থাপক টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাই আমরা তোমাদের কোনো টাকা ফেরত দিতে পারব না। এই নিয়ে মামলা বা বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা আরবান বাগেরহাট শাখা ব্যবস্থাপক মো. স্বাধীন বলেন, নিহার রঞ্জন হালদার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন।

তিনি ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার কোনো হিসাব দেখাতে পারেননি। ২৯ মার্চ আমি বাগেরহাটের শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে এসেছি। ইতোমধ্যে ২১৫ জন গ্রাহককে অন্তত ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি। পর্যায়ক্রমে অন্যদের টাকাও ফেরত দেওয়া হবে।


সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!