• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৬:৪৭ পিএম
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩

চট্টগ্রাম: জেলার বাঁশখালী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইবনে আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলো- মো. এরশাদ উল্লাহ (২৮), খোরশেদ আলম (৩০) ও শারমিন আক্তার (১০)। এরমধ্যে এরশাদ ও খোরশেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ও শারমিনকে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এরশাদ ও শারমিনের পেটে এবং খোরশেদের পিঠের বাঁ পাশে গুলি লেগেছে।

তাঁদের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শারমিন আক্তারের বাবা গোলাম কাদের জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ভোট গ্রহণের সময় তার বাড়ির পাশের কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দুইপক্ষের গোলাগুলি শুরু হলে একটি গুলি বাড়িতে থাকা তাঁর মেয়ের পেটে এসে লাগে।

তিন দফা স্থগিত হওয়ার পর বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭২ জন প্রার্থী। সাধারণ সদস্য পদে ৫৫৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৮ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৫২ জন। ১৩৫টি কেন্দ্রে বুথ রয়েছে ৭৫৬টি।

গত বছরের ৪ জুন বাঁশখালীর ওই ইউপির নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের দুই দিন আগে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

পরে একই বছরের ১২ নভেম্বর নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু জেএসসি পরীক্ষার কারণে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় স্থগিত করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকটি পক্ষের রিট আবেদনের কারণে নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। কিন্তু নতুন নাকি পুরোনো তফসিলে নির্বাচন হবে, সে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ১৬ এপ্রিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!