• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দোষে-গুণে ভরা পানপাতা


সুজন আকন ও মেহেদী হাসান ডিসেম্বর ৯, ২০১৬, ০৫:৪৭ পিএম
দোষে-গুণে ভরা পানপাতা

ঢাকা: পান একটি গাছের নাম। এর পাতাকে ‘পান’ বলা হয়। চিবিয়ে খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয় পানপাতা। সাধারণত বয়স্ক লোকেরা পান খেয়ে থাকে। শহরে ও গ্রামে সর্বত্রই প্রচুর পান দোকান ও পানখাদক দেখা যায়। পান খাওয়ার প্রভাবে দাঁত লাল হয়ে যায়। অনেকে নেশার মত পান খায়। সেদিক বিচারে এটিও একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পান একটি অতি পরিচিত খাবার। সাধারণত অতিথি আপ্যায়নে কিংবা কোনো বৈঠকে আলোচনা শুরু করার উপলক্ষ হিসেবে পানের ব্যবহার দেখা যায়।

পান গাছের পাতাকে পান বলা হলেও মূলত পানের সঙ্গে সুপারি, চুন ও নানান রকমের জর্দা (তামাক জাতীয় দ্রব্য), খয়ের ইত্যাদি এক সঙ্গে বোঝায়। পানের সঙ্গে সবসময়ই সুপারি দেয়া হয়। তবে অনেকেই সুপারি ছাড়া পান খেতে পছন্দ করেন। পান সাধারণত কোনোকিছু খাওয়ার পর মুখে নিয়ে চিবুনো হয়৷

পান পিপুল পরিবারভুক্ত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের এক প্রকার গুল্মজাতীয় গাছের পাতা। আর্য এবং আরবরা পানকে তাম্বুল নামি অভিহিত করত। নিঃশ্বাসকে সুরভিত করা, ঠোঁট ও জিহ্বাকে লাল করার জন্য মানুষ পান খায়। অবশ্য পানে কিছুটা মাদকতার আনন্দও থাকে।

প্রধানত দক্ষিণ এশিয়া, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মানুষ পান খায়। কেবল স্বভাব হিসেবেই নয়, বাংলাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে সামাজিক রীতি, ভদ্রতা এবং আচার-আচরণের অংশ হিসেবেই পানের ব্যবহার চলে আসছে। 

অনুষ্ঠানাদিতে পান পরিবেশন করে অতিথিদের প্রস্থানের সময় ইঙ্গিত করা হয়। এক সময় উৎসব, পূজা ও পুণ্যাহে পান ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীন অভিজাত জনগোষ্ঠীর মাঝে পান তৈরি এবং তা সুন্দরভাবে পানদানিতে সাজানো লোকজ শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেত।

বরজ

বাংলাদেশে পানচাষ: পান চাষাবাদ অতীতে বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই পানচাষ করা হতো। যদিও পান উৎপাদনের ক্ষেত্রে দিনাজপুর, রংপুর, মেদিনীপুর (পশ্চিমবঙ্গে), চট্টগ্রাম জেলা ছিল বিখ্যাত। পানচাষের জন্য যেমন বিশেষ ধরনের জমি প্রয়োজন তেমনি প্রচুর যত্নেরও দরকার। পানচাষের জন্য নির্বাচিত জমি সাধারণত একটু উঁচু, মাটির ধরন শক্ত, জলাশয় ও পুকুরের ধারে বা কাছে হওয়া বাঞ্ছনীয়। পানের বাগানকে বলা হয় বরজ। একটি বরজের আয়তন সাধারণত বারো থেকে কুড়ি শতাংশের মধ্যে সীমিত থাকে। 

পানের বরজ তৈরির জন্য পাশের কোনো জমি থেকে মাটি কেটে বরজের স্থানে ফেলে জায়গাটিকে উঁচু করে নিতে হয়। প্রথাগতভাবে বরজে সরিষার খৈল ও গোবর সার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে প্রচলিত জৈবসারের সঙ্গে রাসায়নিক সারও ব্যবহার করা হচ্ছে। চাষের উপযোগী করে জমিকে তৈরি করার পর মে ও জুন মাসে পানের লতা রোপণ করা হয়। মাঝখানে দুই ফুট দূরত্ব রেখে চারাগুলি সমান্তরাল লাইনে রোপণ করা হয় এবং পরে বাঁশের শলা বা খুঁটি পুঁতে তার সঙ্গে পানের লতাগুলি জড়িয়ে দেয়া হয়।

রোদ আর গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য বরজের চারদিকে ৫/৬ ফুট উঁচু করে বাঁশের শলা ও খুঁটি দিয়ে বেড়া এবং একই সামগ্রী দিয়ে উপরে মাচান তৈরি করা হয়। শুকনা মৌসুমে পান গাছে নিয়মিত পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। চারা রোপণের এক বছর পর পান আহরণের উপযোগী হয় এবং বরজ তৈরির পর কয়েক বছর পর্যন্ত তা থেকে উৎপাদন অব্যাহত থাকে।

সাধারণত বছরে পানের ফলন হয় তিনটি। যে মাসে পান আহরণ করা হয়, স্থানীয়ভাবে সে মাসের নামানুসারে এসব মৌসুমের নামকরণ হয়ে থাকে। তবে সাধারণত কার্তিক, ফাল্গুন এবং আষাঢ় মাসে পান আহরণ করা হয়। পানসেবীদের বিচারে কার্তিকের পান আষাঢ়ের পানের চেয়ে সুস্বাদু। 

পান গাছে কমপক্ষে ষোলটি পান রেখে বাকি পান পাতা আহরণের নিয়ম। পাতার আকার, কোমলতা, ঝাঁজ, সুগন্ধ ইত্যাদির বিচারে বহু ধরনের পান রয়েছে। যেমন- তামাক (তামবুকা) পান যা তামাক ও মসলা বা জর্দা যুক্ত, সুপারি (সাদা) পান, মিষ্টি (মিঠা) পান, সাঁচি পান প্রভৃতি। প্রত্যেক জেলার অন্তত এক ধরনের পানের সঙ্গে পানসেবীরা পরিচিত। 

আগের দিনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় কর্পূরের গন্ধবিশিষ্ট কাফুরি নামের একপ্রকার অতি উন্নতমানের পান উৎপাদিত হতো। তখন এই পান কলকাতা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে রপ্তানি হতো। বর্তমানে আরও বেশি লাভজনক জাতের পানচাষ শুরু হওয়ার কারণে এই জাতের পান এখন বিলুপ্তির পথে। মানের দিক থেকে এর পরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদিত সাঁচি পানের স্থান। সাঁচি পান সাধারণত বাঙালিররা কম খায়। এ পান পাকিস্তানে (করাচিতে) রপ্তানি করা হয়।

বাংলা পানকে অনেকে মিঠা পান, ঝাল পান, রাজশাহীর পান বলেও ডাকে। এছাড়া, সাধারণ জাতের পানের মধ্যে রয়েছে বাংলা, ভাটিয়াল, ঢাল-ডোগা, ঘাস পান ইত্যাদি। সাধারণত পানের সঙ্গে চুন এবং সুপারি মিলিয়ে খাওয়া হয়। অনেকে আবার পানের সঙ্গে ধনিয়া, এলাচি, দারুচিনি এবং অন্যান্য সুগন্ধি দ্রব্য মেশায়।

খিলি

সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভোগ্যপণ্য: পানের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর ভিত্তি করে বারুই নামে একটি পেশাজীবী গোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে। পান উৎপাদনের জন্য যারা বরজ তৈরি করে তারা কালক্রমে বারুই নামের একটি পেশাজীবী শ্রেণির সৃষ্টি করেছে। যেহেতু বরজ তৈরি মুসলমানদের আগমনের পূর্বের পেশা, সে কারণে মূলত সকল বারুই ছিল হিন্দু এবং সমাজে তাদের স্থান শ্রেণিবিন্যাসে বেশ উপরেই ছিল।

ঊনবিংশ শতাব্দীতে অনেক বারুই জমিদারি ও তালুকদারির মালিক হয়। মুসলমান শাসনামলে কৃষকদের মাঝে বারুই শ্রেণি ছিল সবচেয়ে বেশি ধনী। ১৮৭২ এবং ১৮৮১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পান উৎপাদনকারী বারুই বসবাস করত বর্ধমান, মেদিনীপুর, যশোর এবং ঢাকা জেলায়। ১৯৪৭ সাল থেকে বহু পানের বরজই আসল বারুইদের হাতছাড়া হয়ে যায় অথবা তারা বিক্রয় করে দেয় এবং এগুলি মুসলমান বিনিয়োগকারীরা কিনে নেয়। বর্তমানে পান উৎপাদনের সিংহভাগই হচ্ছে মুসলমান কৃষকদের হাতে। তবে উৎপাদন কৌশল অপরিবর্তিত রয়েছে। 

বাংলাদেশে বসবাসকারী আদিবাসী/অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠির মধ্যে খাসি-রাই একমাত্র আদিবাসী যাদের প্রধান পেশা পান চাষ। তারা পানচাষ কে পানজুম বলেন। এদের উৎপাদিত পান অধিক সুস্বাদু ও ঝাঁঝ হওয়ায় এই পান সমগ্র সিলেট অঞ্চলে এমনকি সিলেটের বাইরেও জনপ্রিয়।

রপ্তানি: বাংলাদেশ থেকে পান রপ্তানি করা হয় পাকিস্তান, ভারত, সৌদিআরব, আরব-আমিরাত, ইংল্যান্ড, ইতালি, জার্মানিসহ এশিয়া-ইউরোপের আরও অনেক দেশে। বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পান আনা হয় বাংলাদেশের নাটোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা প্রভৃতি জেলা হতে। তবে ঢাকার অদূরে শ্যামবাজারে প্রচুর পানের আড়ত রয়েছে যা রপ্তানির জন্য বেশি উৎকৃষ্ট নয়। বাংলাদেশ ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে ইউরোপে পান পাঠানো শুরু হয়। সৌদি আরবে পান পাঠানো হয় ১৯৯১ সাল হতে। মূলত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের লোকজনই বিদেশে বাংলাদেশের পান কিনে খায়।

বাংলাদেশে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের পান খেয়ে থাকে। তন্মধ্যে ঢাকাই খিলিপান বাংলাদেশ ও উপমহাদেশে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। হিন্দুদের পূজায়ও পান ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া বয়োবৃদ্ধ নারীরা পানদানিতে পান রেখে তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে অবকাশ যাপন করে থাকেন।

মসলাদার খিলি

পানের উৎপাদনে অধিক পুঁজি বিনিয়োগ প্রয়োজন। তবে এতে আয়ও যথেষ্ট। পানে এক ধরনের সুগন্ধ থাকার কারণে পানের বরজ ক্ষতিকর প্রাণি বা কীটপতঙ্গে কখনও আক্রান্ত হয় না। সুতরাং পান বরজের আয় নিশ্চিত। একসময় পানের বরজ থেকে আয় এতই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হতো যে, বাংলার সুবাদার আজিম-উস-শান পানচাষকে ‘সাউদিয়া খাস’ নামে একচেটিয়া রাজকীয় ব্যবসায় পরিণত করেন। 

১৭৬৫ সালে রবার্ট ক্লাইভ দেওয়ানি লাভের পর তিনিও ১৭৬৭ সালে পান চাষকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসায়ে পরিণত করেন। বর্তমানে পানের বিশ্বব্যাপী বাজার রয়েছে। এই বাজার প্রসারে দুটো বিষয় কাজ করেছে।

প্রথমত, দক্ষিণ এশিয়ার পানসেবীদের বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া; দ্বিতীয়ত, পানের ভেষজ গুণাগুণের বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি। বিশ্ববাজারে ভারতের সাথে প্রতিযোগী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বাজারের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র দখল করতে পেরেছে। পানচাষের জমির পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, কারণ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অন্যান্য ফসলের চাষ এখন বেশি লাভজনক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

পানের গুনাগুন: পান শরীরের জন্য যেমন খুব উপকারী, তেমনি সুপারি ও পানে এক ধরনের কার্সিনোজেন (বিষ) নামক উপাদান আছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দেখে নেয়া যাক, পানের উপকার ও ক্ষতিকর দিকগুলো- আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা এজেন্সির মতে সুপারি ও পান ক্যান্সারজনক পদার্থ (কার্সিনোজেন) যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ক্ষণ। সুপারিসহ পান খেলে মুখ গহ্বরের ক্যান্সার হতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সুপারি দিয়ে পান খেলে মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি ৯.৯ গুণ (জর্দাসহ) এবং ৮.৪ গুণ ( জর্দা ছাড়া)।

উপকারিতা: পান মুখের লালার সঙ্গে মিশে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্থূলকায় ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ক্ষুধা দূর করার জন্য কাজ করে পানপাতা। রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে পান সাহায্য করে। পান-সুপারি দুটোই মাথাব্যথা, বিশেষ করে সায়নোসাইটিস, মাইগ্রেনের ব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত ব্যথা ভালো করে। পানের সঙ্গে গোলমরিচ, লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। 

এছাড়াও পান ঠাণ্ডায় গলার সমস্যা ও আওয়াজ পরিস্কার করতে সাহায্য করে। জন্মনিয়ন্ত্রক হিসেবে পানের শিকড় বেটে খেলে তা গর্ভনিরোধক হিসেবে কাজ করে। মাড়িতে খতে সৃষ্টি হলে, দূষিত ক্ষতে পুঁজ জমতে থাকলে পানের রসের সাথে অল্প পানি মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়ায় পুঁজ জমে না। 

অপকারিতা: বহুগুণে ভরপুর এই পান আবার অতিরিক্ত খেলে, অনেক রোগ অথবা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। পানের সঙ্গে জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের গুণ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে বেশিমাত্রায় পান খেলে মুখ এবং চোখের রোগ হতে পারে। পানের সঙ্গে বেশি খয়ের খাওয়ার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসে ইনফেকশন হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে পান, চুন, জর্দা, খয়ের ও তামাকপাতা খেলে মুখের নানা অসুখ, এমনকি ওরাল ক্যান্সারও হতে পারে। পানের সাথে বেশিমাত্রায় চুন খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। যেহেতু পান উষ্ণ এবং পিত্তকারক, তাই শিশুরা এবং অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের পান খাওয়া উচিত না।

শুভদৃষ্টির সময় পানপাতা

রোজকার রূপচর্চায় পান: শুভদৃষ্টির সময় পান পাতায় ঢাকা থাকে কনের মুখ। আবার বাঙালিদের যে কোনো মঙ্গলানুষ্ঠানেও পান চাই-ই-চাই। পানপাতার মতো মুখের কদরও কম নয়। কেন পানের এত গুণগান? কারণ সত্যিই যে পানের রয়েছে হাজার গুণ। জেনে নিন রোজকার রূপচর্চায় পানের এমনই ৫ ব্যবহার।

চুল পড়া: পান পাতা বেটে তিলের তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।
এক ঘণ্টা রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ওরাল হাইজিন: খাবার খাওয়ার পর পান খায় কেন জানেন? পান যেমন হজমে সাহায্য করে, তেমনই ওরাল হাইজিনের জন্যও উপকারী পান।

অ্যাকনে: পানপাতা রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা অ্যাকনের ( ছোট ছোট ব্রণসদৃশ গোটা, যা সাধারণত পিঠে ও হাতের কনুইয়ে হয়) সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পানপাতা ও হলুদ এক সঙ্গে বেটে অ্যাকনের ওপর লাগান। সেরে যাবে।

চুলকানি: এক বাটি জলে ১০টা পানপাতা ফুটিয়ে নিন। এই জল স্নানের জলে মিশিয়ে নিন বা সরাসরি অ্যালার্জি, র‌্যাশে লাগান।

শরীরের দুর্গন্ধ: গোসলের পানিতে পান পাতার রস মেশালে শরীরের দুর্গন্ধ দূর হয়। প্রতি দিন পান পাতা ফোটানো পানি খেলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়। দুর্গন্ধ হয় না।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!