• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেসার থেকে স্পিনার, অতঃপর ৮ উইকেট শিকার


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ২২, ২০১৮, ০৬:৫৭ পিএম
পেসার থেকে স্পিনার, অতঃপর ৮ উইকেট শিকার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: একাদা পেস বোলিং দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন নাঈম হাসান। কিন্তু তেমন সাফল্য পাচ্ছিলেন না। অবশেষে শুভাকাঙ্ক্ষিতদের পরামর্শে পেস বোলিং ছেড়ে স্পিনার বনে যান চট্টগ্রামের উদীয়মান এই ক্রিকেটার। আর তাতেই বাজিমাত করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই ক্রিকেটার। অফ স্পিন দিয়েই চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় ঢাকা বিভাগের ৮ ব্যাটসম্যানকে শিকার করেন নাঈম।  

সোমবার (২২ অক্টোবর) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই অফ স্পিনারের ছোবলে ধসে পড়ে ঢাকা বিভাগের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয় ২৮৮ রানে। চট্টগ্রামের এই তরুণ স্পিনার  শিকার করেছেন ৮ উইকেট।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিভাগ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আব্দুল মজিদ। উদ্বোধনী জুটিতে ৮২ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। তার আগে ৭১ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করেন সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেয়া এ অলরাউন্ডার।

তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও ব্যর্থ অভিজ্ঞ রকিবুল হাসান। জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া এই তারকা ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র ১৭ রান করার সুযোগ পান। আগের রাউন্ডে শূন্য রানে ফেরেন রকিবুল। শুধু তাই নয়, সবশেষ লিস্ট ‘এ’ দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ ৯ ও ১ রান।

দুর্দান্ত খেলতে থাকা আব্দুল মজিদকে ফেরান নাঈম হাসান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৪ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৭২ রান। এরপর শুভাগত হোম উইকেটের এক পাশ আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে নাঈমের শিকারে পরিণত হয়ে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন ঢাকার বাকি ব্যাটসম্যানরা।

শেষ দিকে ৫৭ রান করেন শুভাগত হোম। আর ৩৫ ও ৩৪ রান করে করেন নাজমুল হোসেন মিলন ও পেস বোলার শাহাদাত হোসেন রাজিব। চট্টগ্রামের হয়ে ৩৫ ওভারে ১০৬ রানে ৮ উইকেটে নেন নাঈম হাসান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!